২৭ অক্টোবর, ২০১৭ ১৯:২১

নিউইয়র্কে জেবিবিএ নির্বাচনের দুই প্যানেল মাঠে

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক

নিউইয়র্কে জেবিবিএ নির্বাচনের দুই প্যানেল মাঠে

উত্তর আমেরিকায় বাংলাদেশিদের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটস এলাকার ব্যবসায়ীরা নির্বাচনী উত্তেজনায় ভাসছেন। এখানকার তিন শতাধিক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের সংগঠন 'জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশি বিজনেস অ্যাসোসিয়েশন' তথা জেবিবিএর দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন উপলক্ষে সরাসরি দুটি প্যানেলে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। আগামী ২ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

বিদায়ী সভাপতি জাকারিয়া মাসুদ জিকো এবং সেক্রেটারি তারেক হাসান খান পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। মাঠে নেমেছে দুটি প্যানেল। একটির নেতৃত্বে রয়েছেন সভাপতি পদে আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি কামরুজ্জামান কামরুল এবং এই প্যানেলের নাম হচ্ছে 'দিদার-কামরুল' প্যানেল।

দু'বছর আগের নির্বাচনেও এই প্যানেল লড়েছিল। অপর প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সভাপতি পদে শাহনেওয়াজ এবং সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান টুকু এবং এই প্যানেলের নাম হচ্ছে 'শাহনেওয়াজ-টুকু' প্যানেল। উভয় প্যানেলের প্রার্থীরাই জেবিবিএর সক্রিয় সদস্য এবং বিগত কমিটির বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর ফলে সকলের যোগ্যতা সম্পর্কে ধারণা রয়েছে সকল ভোটারের।

সংখ্যাগতভাবে ভোটারের সংখ্যা কম হলেও এর ব্যাপ্তি ব্যাপক। কারণ, এই নির্বাচনে জড়িয়ে পড়েছেন কমিউনিটির বিভিন্ন স্তরের মানুষ। বিশেষ করে রাজনৈতিক সচেতন প্রতিটি প্রবাসীই চাচ্ছেন তাদের ঘনিষ্ঠরাই জেবিবিএর নির্বাচনে জয়ী হউক।

এখনও প্যানেলভিত্তিক পোস্টার দেখা না গেলেও বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গ্রুপ মিটিং চলছে। গভীর রাতেও প্যানেলের পক্ষে দল ভারি করার কৌশল সকলেরই নজরে আসছে। এ নির্বাচনে অর্থ ব্যয়ের একটি প্রতিযোগিতাও দেখা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, জ্যাকসন হাইটসের ব্যবসায়ীদের অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে মূলধারার রাজনীতিতে। কংগ্রেসম্যান থেকে সিটি মেয়র অফিস পর্যন্ত তাদের অবাধ বিচরণ। পুলিশ প্রশাসনের সাথেও দহরম-মহরমের অন্ত নেই। নেতৃত্বে থাকা লোকজনকে কমিউনিটিতেও বিশেষ সম্মানের পাত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এছাড়া জ্যাকসন হাইটসে স্থায়ী একটি শহীদ মিনার নির্মাণ এবং বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাকে 'বাংলা টাউন' অথবা 'বঙ্গবন্ধু স্কোয়ার'-এ পরিণত করতে জেবিবিএর বলিষ্ঠ ভূমিকার বিকল্প নেই। সে তাগিদেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিতদের জয়ী করতে সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যেই আন্তরিক একটি প্রয়াস পরিলক্ষিত হচ্ছে। তবে, জামাত-শিবির এবং ফ্রিডম পার্টির ঘাপটি মেরে থাকা লোকজন ভেতরে ভেতরে চেষ্টা চালাচ্ছে তাদের মতবাদে বিশ্বাসীদের নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত করতে।

বিডি প্রতিদিন/২৭ অক্টোবর ২০১৭/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর