ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গত চার দিনে অন্তত ২৫ জন ব্যক্তি কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। সরকারি হাসপাতালে কুকুরের কামড়ের ভ্যাকসিন না থাকায়, রোগীদের বাইরে থেকে ভ্যাকসিন কিনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২৭ জুন ৬ জন, ২৮ জুন ২ জন, ২৯ জুন ৯ জন এবং ৩০ জুন ৮ জন কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
গত রবি ও সোমবার কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে যাঁরা ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন: ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্ব সদরদী গ্রামের রেজাউল মিয়ার ছেলে রিফাত (১৪), নুরুল্লাহগঞ্জ ইউনিয়নের দুলাল খানের ছেলে ইমরান খান (৩০), ভাঙ্গা পৌরসভার ছিলাধরচর গ্রামের মাসুদ মোল্লার ছেলে সোহান মোল্লা (২০), কাপুড়িয়া সদরদী গ্রামের মিঠু ফকিরের স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (৩৩), ওয়াহিদুল মিয়ার ছেলে ওমর ফারুক (৫), আলগি ইউনিয়নের পীরেরচর গ্রামের রবিউল মিয়ার মেয়ে রাদিয়া (২), ভাঙ্গা পৌরসভার জাহিদুল ইসলামের ছেলে সাফওয়ান (৭), মানিকদহ ইউনিয়নের ব্রাহ্মণকান্দা গ্রামের কিবরিয়া মুন্সির ছেলে সোহান মুন্সী (১২), আয়নাল মিয়ার ছেলে ওমর আলী (২০), ঘারুয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গারপাড় গ্রামের আতিয়ার মুন্সির ছেলে মুহিতুর মুনসি (৪০), আদিত মুন্সির ছেলে আলিম মুন্সী (৪৫), ঘারুয়া ইউনিয়নের রশিবপুরা গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে সিরাজ শেখ (৫৫), জব্বার মুন্সির ছেলে কালু মুন্সি (২৫), ভাঙ্গা বাজারের বিনয় সাহা (৪৮), কাপুড়িয়া সদরদী গ্রামের রন্জিলা আক্তার (১৫), মতিয়ার মুন্সি (৫৫), ভাঙ্গা বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী কালু (৬৫) প্রমুখ।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. তানসিভ জুবায়ের নাদিম বলেন, ‘ভাঙ্গা উপজেলায় হঠাৎ করে কুকুরের কামড়ে আহত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। আমরা আহতদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দিচ্ছি। তবে সরকারিভাবে ভ্যাকসিনের সরবরাহ না থাকায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। রোগীরা ফার্মেসি থেকে ভ্যাকসিন কিনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ