যাত্রা শুরুর পর থেকেই চমকপ্রদ গল্পের সব নাটক নিয়ে হাজির হচ্ছে ক্যাপিটাল ড্রামা। যেসব ভিন্ন গল্প আর অভিনব উপস্থাপনা দর্শকদের মাঝে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ভিন্ন স্বাদের প্রেমের গল্পের নাটক ‘উইশ কার্ড’ ১৪ আগস্ট অবমুক্ত হয় ক্যাপিটাল ড্রামার ইউটিউব চ্যানেলে। যেখানে নাটকটি নিয়ে দর্শকদের অফুরন্ত প্রশংসা ও আবেগ চোখে পড়েছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নাটকটি তিন দিনে দেখেছে ৩ মিলিয়নের বেশি দর্শক। তাই বলা যায়, বসুন্ধরা হাউজিং নিবেদিত ক্যাপিটাল ড্রামায় প্রকাশ হওয়া ‘উইশ কার্ড’ নাটকটি দর্শকদের মন ছুঁয়েছে। জাকারিয়া সৌখিনের রচনা ও নির্মাণে ‘উইশ কার্ড’-এ জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন ইয়াশ রোহান ও নাজনীন নীহা। নাটকটিতে ইয়াশ রোহানকে দেখা গেছে কলেজ পড়ুয়া দুষ্টু ছেলে সাদের চরিত্রে। অন্যদিকে একই কলেজের মিষ্টি মেয়ে হৃদির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন নীহা, যার বাবা একজন বন কর্মকর্তা। তিনি সাদের এলাকায় ট্রান্সফার হয়ে এসেছেন। নতুন কলেজে গিয়ে প্রথম দিনই পরিচয় হয় হৃদির সঙ্গে সাদের। সাদ যতটা দুষ্টু, হৃদি ঠিক ততটাই মিষ্টি। তাই সাদ ধীরে ধীরে প্রেমে পড়ে যায়। কিন্তু তার প্রেমের ইশারা পেয়েই সাড়া দেয় না হৃদি। বরং সে এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটায়।
সাদকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলে, তাকে পেতে হলে অনেক উইশ পূরণ করতে হবে। যদি উইশগুলো পূরণ করতে পারে, তবেই হৃদি রাজি হবে। এরপর ঘটতে থাকে দারুণ সব ঘটনা। নাটকটি ক্যাপিটাল ড্রামায় প্রকাশের পর থেকে মন্তব্যের ঘরে ভক্তরা প্রশংসার জোয়ারে ভাসিয়ে দিচ্ছেন। একজন ভক্ত নাটকটির গল্প, নির্মাণ এবং হৃদি-সাদের প্রশংসা করে লিখেছেন, ‘প্রেমে পড়তে শর্ত লাগে? তাহলে এই নাটকটা আপনার জন্য! ‘উইশ কার্ড’ মিষ্টি প্রেম আর হাসির এক রঙিন চিঠি। জাকারিয়া সৌখিন ভাইয়ের নির্মাণে ‘উইশ কার্ড’ আসলে এক আবেগময় রোম-কম যাত্রা। ইয়াশ রোহান আর নাজনীন নীহা আপুর প্রাণবন্ত অভিনয় গল্পটাকে এমনভাবে বেঁধে রেখেছে, যেন ক্যাম্পাসের মাঝেই আমরা বসে আছি। হৃদি সেই অদ্ভুত শর্ত আর সাদের অক্লান্ত চেষ্টা, দুটিই আমাকে একসঙ্গে হাসিয়েছে আর মন ছুঁয়েছে। ইয়াশের দুষ্টুমিতে যেমন এনার্জি, তেমনি নীহার মিষ্টি এক্সপ্রেশন মনে দাগ কেটে যায়। আর সৌখিন ভাইয়ের গল্প বলার ধরন এখনো ফ্রেশ-প্রতিটি দৃশ্যে নান্দনিকতা আছে। সাজিদ সরকারের সুর নাটকের আবেগ দ্বিগুণ করে দিয়েছে। ‘উইশ কার্ড’ প্রমাণ করে- প্রেম মানে শুধু আবেগ নয়, মাঝে মাঝে একটু চ্যালেঞ্জও ভালোবাসাকে আরও মিষ্টি করে তোলে।’ অন্যদিকে রেজওয়ান নামের একজন মন্তব্য করেছেন, ‘নাটকটা দেখে মনটা জুড়াইয়া গেল।’ হৃদয় খান মন্তব্য করেছেন, ‘গল্পটা অনেক সুন্দর! অসাধারণ জুটি! এক কথায় জোস ছিল পুরো গল্প।’
ভারত থেকে একজন ভক্ত মন্তব্য করেছেন, ‘আমি একজন ভারতীয় নাগরিক। এ নাটকগুলো আমার খুবই ভালো লাগে, কারণ নাটকগুলোতে কোনো অশ্লীল জিনিস দেখানো হয় না। খুবই সুন্দর।’ রাহুল আচার্য মন্তব্য করেছেন, ‘অসাধারণ চিত্রনাট্য, অসাধারণ নির্মাণশৈলী, প্রাণবন্ত অভিনয়শৈলী গুণীজনদের। খুব সুন্দর নাটক। হৃদয়কে নাড়া দিয়ে গেল একেকটি দৃশ্য।’ আরেকজন ভক্ত মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘অসাধারণ অভিনয় করেছেন দুজন, স্পেশালি ইয়াশ রোহান। বরাবরের মতোই তার অভিনয় অনেক ন্যাচারাল আর প্রাণবন্ত ছিল। এই ছেলেটা দিন দিন আসলেই নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে। আর সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে তাদের কেমিস্ট্রি। এই জুটি রেগুলার কাজ করলে অনেক ভালো করবে। আর জাকারিয়া সৌখিন ভাই তো রোমান্টিক স্টোরি টেলিং-এর দিক দিয়ে সেরা। সব মিলিয়ে গোছানো ও বেশ ভালো লেগেছে নাটকটা।’ এ নাটকে গান রয়েছে একটি। গানটির শিরোনাম ‘প্রিয় নামে ডাকতে চাই’। রবিউল ইসলাম জীবনের কথায় গানটি গেয়েছেন ইব্রাহীম কামরুল শাফিন এবং রুমি রুশা। গানটির সুর ও সংগীত করেছেন সাজিদ সরকার। গানটি তৈরি করা হয়েছে ক্যাপিটাল মিউজিকের জন্য। ‘উইশ কার্ড’ নাটকটির প্রযোজক আনোয়ারুল আলম সজল।