বিশ্ববাজারে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও পণ্য প্রদর্শনীর অন্যতম বাজার দুবাইয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও চলছে আন্তর্জাতিক শপিং ফেস্টিভ্যাল। নিজ দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও দেশি পণ্যের প্রচারের লক্ষ্যে গ্লোবাল ভিলেজ শপিং ফেস্টিভ্যালের ২২ তম আসরে অংশ নিয়েছে ২৭টি দেশ।
বাংলাদেশ ছাড়া অন্যান্য দেশের প্যাভিলিয়নের মধ্যে রয়েছে আরব আমিরাত, সৌদি আরব, ইরাক, ইয়েমেন, লেবানন, সিরিয়া, বাহরাইন, ওমান, ইরান, কুয়েত, জর্দান, চায়না, থাইল্যান্ড, জাপান, তুর্কি, ইউরোপ, বসনিয়া, মিশর, আফ্রিকা, মরক্কো, আমেরিকা, পাকিস্তান, আফগানিস্থান, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল।
প্রতিটি প্যাভিলিয়নে উপস্থাপন করা হয়েছে নিজ নিজ দেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য। এছাড়া মেলার মাঝ মাঠে রয়েছে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্যে সাংস্কৃতিক মঞ্চ, সেখানে মেলা চলাকালীন পুরো সময় জুড়ে থাকে নাচ, গান আর নানা আয়োজন। প্রতিদিন বিকাল ৪টা হতে মেলা চলতে থাকে রাত ১২টা পর্যন্ত। মেলায় কেউ আসছেন দল বেঁধে কেউবা পরিবার পরিজন নিয়ে। ব্যয় বহুল এই ফেস্টিভ্যালে কেনাকাটার চেয়েও সৌন্দর্য উপভোগে সময় কাটান অধিকাংশ দর্শনার্থী।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে বিনামূল্যে জায়গা বরাদ্দ পাওয়ায় এই ফেস্টিভ্যালে শেষবার অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। সেসময় বিনামূল্যে জায়গা বরাদ্দ প্রথা তুলে নেওয়ার পরই মুছে যায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নের নাম। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ২০১৭-২০১৮ সেশনে আবার দেখা মিলেছে বাংলাদেশ। এবারের আসরে অংশগ্রহণের সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের নাম রয়েছে নেপাল ও শ্রীলঙ্কার সঙ্গে একই প্যাভিলিয়নে।
তবে মেলা ঘুরে দেখা গেছে, বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন থাকলেও সেখানে নেই পর্যাপ্ত স্টল ও বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান। মেলার প্রবেশ দ্বারের খুব কাছাকাছি প্যাভিলিয়ন পেলেও দর্শনার্থীদের ভিড় নেই ওই একই কারণে।
বিক্রেতারা বলছেন, ‘বাড়তি খরচের চাপে মেলায় অংশগ্রহণের আগ্রহ কম দেখান বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। প্রবাসী ব্যবসায়ীদের আন্তরিক অংশগ্রহণ না থাকায় যথাযথ মূল্যায়ন পায়নি বাংলাদেশ।’
আর ক্রেতা দর্শনার্থীরা বলছেন, ‘দেশি পণ্যের প্রচার ও প্রসারের জন্যে দুবাইয়ের এ ফেস্টিভ্যাল রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। গার্মেন্টস সামগ্রী ও চামড়াজাত পণ্যের চাহিদাও রয়েছে এখানে। সে হিসেবে অন্তত বাংলাদেশি পণ্য বিশ্ববাজারে তুলে ধরতে হলেও এখানে প্রবাসী ব্যবসায়ীরা অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন।’
মেলায় অন্যান্য প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, পাকিস্তানসহ এশিয়ার বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান নিজ দেশের নামে প্যাভিলিয়ন রাখায় সেখানকার ভিড় চোখে পড়ার মত। নিজ দেশের প্যাভিলিয়নে স্টল কম হলেও পুরো মেলা ঘুরে আনন্দিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তারা জানান, আগামীতে দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট ও প্রবাসী ব্যবসায়ীদের আন্তরিক অংশগ্রহণ বৃহত্তর এই ফেস্টিভ্যালে মাধ্যমে বাংলাদেশের সুনাম ছড়িয়ে পড়বে অনন্য উচ্চতায়।’ উল্লেখ্য, ২২তম আসরের মেলা আগামী ৭ এপ্রিল ২০১৮ পর্যন্ত চলবে।
বিডিপ্রতিদিন/ ০৭ জানুয়ারি, ২০১৮/ ই জাহান