চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কমিশনার মাইনুদ্দিন মাহির ওপর হামলার সংবাদে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে আটলান্টিকের এপাড় নিউইয়র্কে বসবাসরত সন্দ্বীপবাসীর মধ্যে। ক্ষুব্ধ সন্দ্বীপবাসী এমন হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিও করেছেন।
‘দলীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত কয়েক বছরে আওয়ামী লীগের ৬ কর্মী খুন হওয়ার পরও সন্দ্বীপের পুলিশ রহস্যজনকভাবে নিরবতা পালন করছে’-এমন অভিযোগও করেছেন বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার প্রবাসীরা। সন্দ্বীপ এসোসিয়েশন এবং সন্দ্বীপ সোসাইটির সর্বস্তরের সদস্যরা কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সামাজিক নিরাপত্তার স্বার্থে এমন সন্ত্রাসে লিপ্তদের দমনে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্যে।
জানা গেছে, গত ৮ জানুয়ারি চট্টগ্রামের সময় বিকেল ৫টায় সন্দ্বীপ পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বেড়ীরপাড় এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রবাসীরা আরো জানান, ‘ওই সময় কমিশনার মাইনুদ্দিন মাহি একটি বাঁশের সেতু নির্মাণ কাজের তদারকি করছিলেন। এসময় শাহাদাত নামক এক ব্যক্তি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মাইনুদ্দিনের সাথে থাকা মঞ্জয়কে হঠাৎ গালিগালাজ ও মারধর শুরু করে। ভীত-সন্ত্রস্ত মঞ্জয় দৌঁড়ে পালিয়ে গেলে তারা মাইনুদ্দিনের উপর চড়াও হয়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মাইনুদ্দিন বেড়ীবাঁধের খাদে পড়ে গিয়ে দৌড়ে পালাতে সক্ষম হলেও তাকে ধাওয়া করে ৭/৮ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে সন্ত্রাসীরা। এক পর্যায়ে সুমন নামক অপর ব্যক্তির নেতৃত্বে সশস্ত্র কিছু যুবক তার বাড়ির সামনে গিয়ে গুলি ছুড়েন বলে অভিযোগ করেন মাইনুদ্দিন। গুলি ছোঁড়ার ঘটনায় স্থনীয় রিক্সাচালক মনির প্রকাশ মনি’র স্ত্রীও আহত হন বলে জানা যায়। মাইনুদ্দিন অভিযোগ করেন, ঘটনার পর পুলিশী সহায়তা চাইলে পুলিশ এসে উল্টো গুলি ছোঁড়ার ঘটনায় মাইনুদ্দিনকেই দোষারোপ করতে থাকে। এ বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য জানতে চাইলে সন্দ্বীপ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর প্রবাসের নেতাদের জানান, ‘হামলার ঘটনা সত্য তবে কে বা কারা গুলি ছুঁড়েছে তা তদন্তের আগে বলা যাবে না।’
বিডি-প্রতিদিন/১০ জানুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব