উত্তর আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারি প্রজন্মে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি জাগ্রত রাখতে ফোবানা (ফেডারেশন অব বাংলাদেশী এসোসিয়েশন্স ইন নর্থ আমেরিকা)কে অন্যতম প্ল্যাটফরম হিসেবে পরিণত করার আহবান জানালেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।
গত শুক্রবার ফোবানার নির্বাহী কমিসির্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দেয়ার শীর্ষ কর্মকর্তারা বাংলাদেশ মিশনে রাষ্ট্রদূতের সাথে সাক্ষাত করলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতাপূর্ণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অন্যতম মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত। এই অহংবোধকেও নতুন প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের ধারণাও পাল্টে যাবে। আর এজন্যে ফোবানার গুরুত্ব অপরিসীম।’
আসছে লেবার ডে উইকেন্ড তথা সামনের বছরের ৩০-৩১ আগস্ট এবং ১ সেপ্টেম্বর ফোবানার ব্যানারে ‘৩৩তম বাংলাদেশ সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হবে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডে নাসাউ কলিসিয়াম অডিটরিয়ামে। এ সম্মেলনের আয়োজক হচ্ছে নিউইয়র্কের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ‘ড্রামা সার্কল’।
সেই সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানাতে ফোবানার কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মীর চৌধুরী, সেক্রেটারী জাকারিয়া চৌধুরী, হোষ্ট কমিটি কনভেনর নার্গিস আহমেদ, মেম্বার সেক্রেটারী আবির আলমগীর, সাবেক চেয়ারম্যন বেদারুল ইসলাম বাবলা, নির্বাহী সদস্য কবির কিরন, মিডিয়া কমিটির কো-চেয়ারম্যন নিহার সিদ্দীকি সহ নেতৃবৃন্দ রাষ্ট্রদূত মাসুদের সাথে সাক্ষাত করেন।
একইদিন নেতৃবৃন্দ নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসাকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন বাংলাদেশ কন্স্যুলেটে গিয়ে। এ সময় দিপ্ত প্রত্যয়ে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের পক্ষে প্রবাসে জনমত সুসংহত করতে ফোবানার এই সম্মেলনের গুরুত্ব অপরিসীম বলে উল্লেখ করেন সাদিয়া ফয়জুননেসা। ফোবানার মধ্য দিয়ে প্রবাসীদের ঐক্যতানের বহিপ্রকাশ ঘটানোও সম্ভব, যা নতুন প্রজন্মকেও উজ্জীবিত করবে বলে উল্লেখ করেন সাদিয়া।
ফোবানার কর্মকর্তারা এসময় উল্লেখ করেন, বিষয়ভিত্তিক সেমিনার-সিম্পোজিয়াম ছাড়াও থাকবে দেশ বরেণ্য শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিকদের সমন্বয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। থাকবে নতুন প্রজন্মের অনুষ্ঠানও। এর আগে তারা ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনকে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত