বিজয়ের রঙে রাঙালো প্রবাস প্রজন্ম। কালি আর কলমে ঝলসে উঠলো সবুজ-শ্যামলিমা বাংলাদেশ। চোখে দেখেনি যে ভূখণ্ড, তা অঙ্কিত হলো হৃদয়পটে জেগে উঠা প্রত্যয়ে। আর এমন বর্ণিল উৎসবের আয়োজন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন, উত্তর আমেরিকা ইন্ক। ৪৮তম বিজয় দিবসে বিপুলসংখ্যক শিশু-কিশোরের অংশগ্রহণে এ উৎসব হয় নিউইয়র্ক সিটির ব্রুকলীনে বৃহত্তর নোয়াখালী ভবনের মিলনায়তনে। বিজয়ের আমেজে একাকার হয়েছিলেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রবাসীরাও। ছিলেন অ্যালামনাই পরিবারের লোকজন। নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণে আবৃত্তি প্রতিযোগিতাতেও উপস্থাপিত হয় একাত্তরের স্মৃতি জাগানিয়া দিনগুলো। বীর চট্টলার অবিস্মরণীয় ভূমিকাও বাদ যায়নি চিত্রাঙ্কন আর কবিতায়।
সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ আবদুল আজিজ নঈমীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাবিনা শারমিন নিহারের সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র এবং বাংলাদেশ পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (টিএন্ডআইএম) মোর্শেদুল আনোয়ার খান।
শুরুতে বাংলাদেশ ও আমেরিকার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয় এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
স্বাগত বক্তব্য দেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক মীর কাদের রাসেল। স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং দেশের উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর শাহনেওয়াজ ডিকেন্স, প্রধান সমন্বয়কারী ও সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম সগীর, সাবেক সভাপতি বিষ্ণু গোপ, বাংলাদেশ থেকে আগত ডাঃ ইশতিয়াক আজিজ খান, সহ-সভাপতি হাসান মাহমুদ, ইঞ্জিনিয়ার বিদ্যুৎ দাশ, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সেলিম, অধ্যাপক গোলাম মোহাম্মদ মুহিত, বাংলাদেশ সোসাইটির স্কুল ও শিক্ষা সম্পাদক আহসান হাবিব, পরেশ সাহা, এস. এম. ইকবাল ফারুক, নজরুল কবীর, মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, শিবলী ছাদেক, এন. বি. নাহার প্রমুখ।
মোর্শেদুল আনোয়ার খান বলেন, স্বাধীনতার পরে শক্তি যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে তবে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া কেউ থামাতে পারবে না।
অধ্যাপক ডিকেন্স দেশপ্রেমিক সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অশুভ শক্তির মোকাবিলা করার আহবান জানান। ‘স্বাধীনতার কারণেই আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি, পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ ঠাঁই করে নিয়েছে লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে’-উল্লেখ করেন অধ্যাপক ডিকেন্স।
শেষ পর্বে এলামনাই পরিবারের শিল্পীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি সবার কাছে উপভোগ্য হয়ে উঠে। প্রাণভরে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন সকলে।
একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন অনুপ দাশ, ফাহমিদা ইয়াসমিন এ্যানি, হাসান মাহমুদ, বিদ্যুৎ দাস, এন. বি. নাহার, রুদ্রনীল দাশ রুপাই। দলীয় সঙ্গীতে অংশ নেন অনুপ, নাহার, এ্যানি, হাসান, সেলিম, শিবলী, শিলা, শিল্পী, কবিতা, বিদ্যুৎ দাস. কাসেম, আমিন এবং সলিল। আবৃত্তি করেন নজরুল কবীর, শিবলী ছাদেক, লিউনা মুহিত, ফাসির কবির কাব্য ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুশিল্পীরা।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা