লাগাতার মানববন্ধন আর বিক্ষোভ-সমাবেশের অষ্টম দিবস শুক্রবার প্রবাসীরা বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, সাম্প্রদায়িক হামলার জন্যে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ ৫ দফা দাবি উত্থাপন করলেন।
২৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় প্রবাসী নাগরিক সমাজের ব্যানারে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিত্বকারিগণের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন থেকে দাবি নামা উপস্থাপন করেন কমিউনিটি এ্যাক্টিভিস্ট মোজাহিদ আনসারী। তা হচ্ছে, ১. বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মণ্ডপে হামলা, প্রতিমা ভাংচুর, বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ ও পূর্ণ নিরাপত্তা, ২. এবারসহ অতীতের সকল সাম্প্রদায়িক দাঙার জন্য দায়ি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচারের মাধ্যমে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সকল ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা, ৩. সাম্প্রদায়িক দাঙার জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা, ৪. অসাম্প্রদায়িক চেতনায় মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী জাতির প্রথম সংবিধানে (বাহাত্তর) ফিরে যাওয়া এবং ৫. মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা করা।
সাংবাদিক তোফাজ্জল লিটনের সঞ্চালনায় ‘রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ মন্ত্রে উজ্জীবিত এ র্যালিতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল বারি, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজুল ইমাম, কন্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় নেতা আল আমিন বাবু, যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের অধ্যাপক নব্যেন্দু বিকাশ দত্ত, গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক সৈয়দ জাকির আহমেদ রনি, সাংবাদিক ও ছড়াকার সঞ্জীবন কুমার, গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ও মাসিক অন্যদেশ পত্রিকার আল আমিন বাবু, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্বীকৃতি বড়ুয়া, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সদস্য মাহতাব সোহেল, তরুণ ডেমোক্রেট আহনাফ আলম, অধ্যাপক হোসনে আরা, মুহম্মদ ফজলুর রহমান প্রমুখ।
র্যালির সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মুহম্মদ উল্লাহ বলেন, অন্যান্য অধিকারের মতো বাংলাদেশের সকল মানুষের ধর্মীয় অধিকার সংরক্ষণ করা সরকারের দায়িত্ব।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন