জার্মানিতে দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করা হয়। তারপর রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও উপস্থিত অতিথিরা শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বাণী পাঠের পরপরই উপস্থিত দূতাবাস সদস্যরা ও কমিউনিটির অংশগ্রহণে একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব, ইতিহাস ও তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ৫২-এর ভাষা আন্দোলনকেই বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টির পথে আন্দোলনের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা যায়। ভাষা আন্দোলনের প্রথম পর্যায়ে ১৯৪৭-৪৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে অর্থাৎ ১৯৫২ সালে জেলে থেকেও তিনি ২১ ফেব্রুয়ারিতে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ ও মিছিল করার জন্য ছাত্রসমাজকে উদ্বুদ্ধ করেন। তাই ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা সংগ্রাম, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একে অপরের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন সম্পর্কে জড়িত।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাকে মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য জীবন উৎসর্গ করা সকল ভাষা শহীদকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার ফলে বিভিন্ন ভাষাভাষি মানুষের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অমর একুশে চেতনা আজ এক অনুপ্রেরণা।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জার্মান ও বার্লিন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দসহ দেশটিতে বসবাসরত বিভিন্ন স্তরে কর্মরত প্রবাসীরা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই