আমার এক ভাবী বললেন, একটা দারুণ উপায় পেয়ে গেছি। আর কোনো চিন্তা নেই। বলতে পারেন রিমোট এখন আমার হাতে। আমি বললাম, শুধু এখন কেন, রিমোট সবসময়ই আপনার হাতে থাকে। জানা গেছে, ভাই রিমোট চাইলে নাকি এমনভাবে ছুড়ে মারেন, বেচারার দাঁত ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। ভাবী বললেন, ধুর, কীসের মধ্যে কী নিয়ে এলেন! আমি টিভি রিমোটের কথা বলিনি। রিমোট আমার হাতে মানে ক্ষমতা আমার হাতে। কোন ক্ষমতা জানেন? পরিবারের সবাইকে যখন ইচ্ছা তখন ঘুম পাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা। মনে করেন আমার আগে আগে ঘুমানো দরকার। কিন্তু বাচ্চারা হাউকাউ করছে বলে ঘুমাতে পারছি না। এ অবস্থায় যদি ‘ভূত’ শব্দটা উচ্চারণ করি তারা ভয় পেয়ে চুপ হয়ে যায়। ছোটদের কথা গেল। এবার বলি বড়দের কথা। মানে আপনার ভাইয়ের কথা। মনে করেন সে কোনো কারণে খুব হম্বিতম্বি করছে। এ অবস্থায় যদি তার কানের কাছে গিয়ে বিশেষ একটা শব্দ বলা যায় তাহলে বাচ্চারা ‘ভূত’ শুনলে আর কতটা আতঙ্কগ্রস্ত হয়, সে এরচেয়ে অনেক বেশি আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। পারলে তখনই কাঁথামুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ে। আমি জানতে চাইলাম সেই বিশেষ শব্দটা কী? ভাবী বললেন, ‘বাজার লাগবে’। আমার এক দুলাভাই দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, জীবনে এমন দুঃসময়ও আসে যখন নিজের প্রিয় অনেক জিনিস বিসর্জন দিতে হয়। হায় জীবন! দুলাভাইয়ের কথা শুনে এবং দীর্ঘশ্বাস ফেলার ধরন দেখে আমার খুব মায়া হলো। তাই জিজ্ঞেস করলাম সম্প্রতি এমন কোনো ঘটনা মতান্তরে দুর্ঘটনা ঘটেছে কি না, যার জন্য তাকে প্রিয় জিনিস বিসর্জন দিতে হয়েছে। দুলাভাই এবার উত্তেজিত হয়ে উঠলেন, ঘটেছে মানে? আলবৎ ঘটেছে। এই যে বাজারে এখন আগুন জ্বলছে, আতঙ্ক বিরাজ করছে, শুধু এ কারণে আমি আমার প্রিয় একটা গান শোনা বন্ধ করে দিয়েছি। বিশ্বাস কর, গানটা শুনলেই আমার বাজারের কথা মনে পড়ে যায়। আমার ধড়ফড়ানি বেড়ে যায়। আমার মনে হয় আমি হার্টফেল করব। এ জন্য গানটা নিজে তো শুনিই না, কাউকে শুনতেও দেই না। আমি বললাম, একটু কি বলা যাবে কোন সেই গান, যা শুনলে আপনার বাজারের কথা মনে পড়ে? দুলাভাই কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন, ‘এসব দেখি কানার হাট-বাজার...’। আমার এক ছোটভাই বলল, বাজারে যাওয়াটা এখন সাহসের ব্যাপার। যাদের এই সাহস আছে মানে যারা আতঙ্ককে জয় করে বাজারে যেতে পারছে তাদের জন্য বাজার কমিটির উচিত বিশেষ সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রাখা। আমি বললাম, কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা? ছোটভাই বলল, সুযোগ-সুবিধার কথা বলতে গেলে তো অনেকই বলা যায়। তবে এতকিছু বলতে চাই না। আমি মনে করি, যারা এই বাজারে সাহস করে গরুর মাংস কিনতে যাবে তাদের বিশেষ একটা সুবিধা অবশ্যই দেওয়া উচিত। আমি এবার খানিকটা উত্তেজিত হয়ে বললাম, আরে বাপুরে সেই বিশেষ সুবিধাটা কী? এবার ছোটভাইও কিছুটা উত্তেজিত হয়েই বলল, আরে ভাইরে, প্রায় হাজার টাকা দিয়ে এক কেজি গরুর মাংস কিনব, কসাই ভাইদের কি উচিত না একটা সেলফি জোনের ব্যবস্থা রাখা? নইলে মাংসের পোটলা হাতে নিয়ে সেলফিটা তুলব কোথায়? গরুর মাংস কেনার এ বিরল স্মৃতি ক্যামেরাবন্দি করে রাখা দরকার আছে না?
শিরোনাম
- টানা বর্ষণে ভিয়েতনামে ভয়াবহ বন্যা, ৪১ জনের প্রাণহানি
- ফের উত্তপ্ত নেপাল, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী সুশীলার
- ১৬ বছরের কম বয়সীদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার নিষিদ্ধ করল অস্ট্রেলিয়া
- রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: মার্কিন শান্তি প্রস্তাব মানবে না ইউরোপ
- ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর শত শত মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে
- লঙ্কানদের বিপক্ষে দাপুটে জয় পেল জিম্বাবুয়ে
- আজ সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া
- বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে ইসির সভা ৩০ নভেম্বর
- ইসির ৯ কর্মকর্তাকে বদলি-পদায়ন
- জাতির গর্বিত প্রতিষ্ঠান সশস্ত্র বাহিনী: তারেক রহমান
- জাতিসংঘের কপ-৩০ জলবায়ু সম্মেলন ভেন্যুতে ভয়াবহ আগুন
- দেশের বাজারে কমলো স্বর্ণের দাম
- তরুণরাই গড়বে সুন্দর বাংলাদেশ: ইসরাফিল খসরু
- রুশ গোয়েন্দা জাহাজ থেকে লেজার নিক্ষেপ, যুক্তরাজ্যের কড়া হুঁশিয়ারি
- নেত্রকোনায় ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার আটক, ৭ দিনের কারাদণ্ড
- ফটিকছড়ি প্রেস ক্লাবের নতুন কার্যালয় উদ্বোধন
- সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বিজিবি
- তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে নারীর নিরাপত্তা উন্নত হবে: শামা ওবায়েদ
- গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কাতারের নিন্দা
- ভারতীয় বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আবারও বাড়ালো পাকিস্তান
বাজার কাহিনি
ইকবাল খন্দকার
প্রিন্ট ভার্সন
সর্বশেষ খবর