আমার এক ছোটভাই বললো, দেশে করোনা আসলো। অনেক দিন যন্ত্রণা দিলো। তারপর টিকা আবিষ্কার হলো। করোনা পুরোপুরি বিনাশ না হলেও মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে চলে আসলো। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, ভাইরাল রোগের কোনো টিকা আবিষ্কার হয়নি এখন পর্যন্ত। তাহলে মানুষ বাঁচবে কীভাবে? এই রোগ যা ভয়ংকর! একবার শরীরে ঢুকলে জীবন তামাতামা বানিয়ে দেয়। আমি বললাম, ভাইরাল রোগের টিকা কোনো দিনই আবিষ্কার হবে না। কেউ নিরাপদ থাকতে চাইলে নিজের উদ্যোগে নিরাপদ থাকতে হবে। মানে নিজের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে হবে। নইলে জীবন তামাতামা হবেই। সমস্যা হচ্ছে, ভাইরাল রোগের বিষয়ে কেউই সচেতনতা বাড়ায় না। বরং সবাই মিলে দল ভারী করে। ছোটভাই এবার প্রায় লাফিয়ে উঠলো। বললো, এটা একটা কাজের কথা বলেছেন। আমার মাথায় নতুন একটা আইডিয়াও চলে এসেছে আপনার কথা শুনে। আপনি রাজি থাকলে আমি মাঠে নেমে পড়তে পারি। আমি অবাক হয়ে বললাম, তুই কিসের কথা বলছিস? আমি তো তোর কথার মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝতে পারছি না। ছোটভাই বললো, বুঝিয়ে না বললে বুঝবেন কীভাবে? বলছি। একটু খেয়াল করেন। খেয়াল করবেন, আজকাল মানুষের মধ্যে একতা নেই বললেই চলে। যে কারণে দল গঠন করেও শান্তি নেই। নিজেদের মধ্যে কোন্দল লেগেই থাকে। কিন্তু ‘ভাইরাল’ নামে যদি একটা দল গঠন করা যায়, আর কোনো চিন্তা নেই। কোটি কোটি মানুষ মুহূর্তেই যোগ দেবে এই দলে। আর নিজেদের মধ্যে কোন্দল বাধার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, দলের প্রতিটি সদস্যের লক্ষ্য এক, উদ্দেশ্য এক। সেটা হচ্ছে, ভাইরাল হওয়া। আমি বললাম, আসলেই ভাইরাল পার্টি নামে একটা পার্টি গঠন করতে পারলে ম্যালা লোক যোগ দেবে। ছোটভাই বললো, আপনি আসলেই পজিটিভ চিন্তা করেন। আমি বললাম, ভাইরাল নিয়ে পজিটিভ চিন্তা করতে গেলে সেটা করোনা পজিটিভ, ডেঙ্গু পজিটিভের মতোই শোনায়। সবচেয়ে ভালো হয় যদি মাথা থেকে ভাইরালের ভূতটা নামিয়ে ফেলা যায়। ছোটভাই বললো, ভাইরালের ভূত গাবগাছের ভূতের মতো নরমাল কোনো ভূত না যে, বললেই নেমে পড়বে। মাথা থেকে এই ভূত ততক্ষণ নামবে না, যতক্ষণ মাথা আছে। আমি বললাম, আগে যখন মানুষের মাথায় ভাইরালের চিন্তা ছিল না, তখন কি জগৎ সংসার চলেনি? তাহলে এখন মানুষ ভাইরাল হওয়ার জন্য এত পাগলামি কেন করে? ছোটভাই বললো, মানুষের শখ-আহ্লাদকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। আমি বললাম, তার মানে তুই ভাইরাল হওয়ার জন্য মানুষ যে পাগলামিটা করে, সেটাকে সাপোর্ট করছিস? ছোটভাই বললো, সাপোর্ট না করে করবো কী বলেন! বাসায় তো থাকতে হবে! দুইটা ডাল-ভাত তো খেতে হবে! আমি বললাম, এটাকে সাপোর্ট না করলে ডাল-ভাত খাওয়া যায় না? ছোটভাই বললো, খাওয়া যায়, তবে বাসায় না। হোটেলে। আমি যদি ভাইরালের বিপক্ষে কথা বলি মানে ভাইরালকে সাপোর্ট না করি, তাহলে আমার বউ রান্নাবান্না করা তো দূরের কথা, আমাকে বাসায় থাকতেই দেবে না। আমি বললাম, তার মানে তোর বউও ভাইরাল রোগে আক্রান্ত? ছোটভাই বললো, সে আলটিমেটাম দিয়েছে, যদি আমি তার ছবি বুস্ট না করি, মানে যদি সে ভাইরাল হতে না পারে, তাহলে বাসায় আমারও খাওয়াদাওয়া বন্ধ। তাড়াতাড়ি করে মোবাইল বের করলাম পকেট থেকে। ছোটভাই জানতে চাইলো কোথায় ফোন দিচ্ছি। বললাম, তোর ভাবীকে। রোগটা তো দেখি কমন! তাকে এখনই সরি বলে নিই!
শিরোনাম
- বিটিভির পর্দায় মাসজুড়ে ‘৩৬ জুলাই
- বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে শীর্ষে থাকা ভারত এখন ৬ষ্ঠ
- বস্ত্র ও পোশাক খাতের জন্য স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় চায় বিজিএমইএ
- সব বাধা অতিক্রম করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে : রিজভী
- পুলিশের অস্ত্র অপরাধীদের হাতে
- জুনে বেড়েছে ধর্ষণ-গণপিটুনিতে হত্যা
- ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় ‘নিস্তেজ’ পর্যটন
- সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
- ইলিশের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো যাবে না : মৎস্য উপদেষ্টা
- এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারে শুরু জুলাইয়ে
- ‘ভারতের অন্যায় আবদারের কাছে আমরা মাথানত করবো না’
- নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে : নায়াব ইউসুফ
- চাঁদা আদায় বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
- রায় মেনে ভারতকে সিন্ধু পানি চুক্তি বাস্তবায়নের আহ্বান জানাল পাকিস্তান
- ভোটকেন্দ্র নীতিমালার গেজেট প্রকাশ, ডিসি-এসপির কমিটি ও ইভিএম বাদ
- গাজা যুদ্ধে সেনা হতাহতের সংখ্যা জানাল ইসরায়েল
- সাজা মওকুফ হওয়ায় মুক্তি পেলেন যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া ১৩ আসামি
- মঙ্গলবার থেকে আমদানি-রফতানির সব সনদ অনলাইনে জমা বাধ্যতামূলক
- ‘জনগণের ভাষা বুঝতে পেরে দ্রুত সময়ে নির্বাচনের ঘোষণা সরকার’
- এবার নিউইয়র্কের তহবিল বন্ধের হুমকি দিলেন ট্রাম্প
ভাইরালে কাবু
ইকবাল খন্দকার
প্রিন্ট ভার্সন
