ব্যারিস্টার মাইকেল মধুসূদন একদিন হাই কোর্টে যাওয়ার জন্য ঘোড়ার গাড়িতে উঠতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যান এবং বেশ আঘাত পান। বেশ কিছুদিন কবিকে শয্যাশায়ী থাকতে হয়। সিউড়ির জমিদার দাক্ষিণারঞ্জন মুখোপাধ্যায় একদিন কবি-ব্যারিস্টার মধুসূদনকে দেখতে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন, ‘কী হয়েছে?’
শয্যাশায়ী মধুসূদন হেসে উত্তর দিলেন, ‘ভগ্নঊরু! কুরুক্ষেত্র রণে।’
কবির রসিকতায় জমিদার হেসে উঠলেন ও কবির দ্রুত আরোগ্য কামনা করলেন।
►
রবীন্দ্রনাথ একবার তার পার্সেনাল সেক্রেটারি সুধাকান্ত রায় চৌধুরীকে নিয়ে রামগড় পাহাড়ে বেড়াতে গেছেন। একদিন সকালে সুধাকান্ত দেখলেন, গুরুদেব নিচে বসে এক পায়ের মোজা খুলে হাত দিয়ে পায়ের তলাটা ঘষছেন। সুধাকান্ত জিগ্যেস করলেন, ‘গুরুদেব, কী হয়েছে?’
রবীন্দ্রনাথ বললেন, ‘চারণপদ্ম নিয়ে অনেক কবিতা লিখেছি, চরণ কমল, চরণপদ্ম, পাদপদ্ম এসব পদকীর্তনও শুনেছি।
অনেকবার। কিন্তু কেন যে পা-কে পদ্ম বলে, আজ সেটা ভালো করে বুঝতে পারলাম। অন্য লোকের পদ যে পদ্মই তা জানি না, তবে আমার চরণ যে পদ্ম তাতে কোনো সন্দেহ রইল না। কারণ এত জায়গা থাকতে মৌমাছি মোজা ভেদ করে আমার পায়ের তলেই হুল বিঁধিয়ে দিল। এতেই বোঝা গেল আমার চরণ প্রকৃতই পদ্ম।’ এ কথা শুনে সুধাকান্ত হেসে ফেললেন।