পত্রিকার পাতায় চোখ রেখে স্বামী স্ত্রীকে বললেন, কী লিখেছে দেখো, স্বামীরা যেখানে গড়ে প্রতিদিন পাঁচ হাজার শব্দ ব্যবহার করে, সেখানে স্ত্রীরা করে দশ হাজার শব্দ!
স্ত্রী : ঠিকই তো আছে। স্ত্রীদের যে প্রতিটা কথা দুবার করে বলতে হয়।
স্বামী : কী বললে?
♦ চিত্রপ্রদর্শনীতে আপনার আঁকা ছবি দেখলাম শুধু আপনার ছবিগুলোরই প্রশংসা করতে পারি।
শিল্পী : কেন অন্যদের আঁকা ছবিগুলো কি একেবারেই ভালো হয়নি।
দর্শক : না ঠিক তা নয়। আসলে অন্যদের আঁকা ছবিগুলোর সামনে এত ভিড় ছিল যে ওগুলো আমি দেখতে পাইনি।
♦
ছেলে : বাবা আমার ধারণা, কাল থেকে আমরা অনেক বড়লোক হয়ে যাব।
বাবা : কীভাবে?
ছেলে : আগামীকাল আমাদের অঙ্কের স্যার, কীভাবে পয়সাকে টাকা বানাতে হয় তা শেখাবেন।
♦
: তোমার স্টুডিওতে ঢোকার মুখে দেখলাম টুলের ওপর গম্ভীর মুখে একজন বসে আছেন। তা উনি কি ফটো তোলাতে এসেছেন?
: আরে না ভাই, ও হচ্ছে ফার্নিচারের দোকানের লোক। ওই টুলটাই বানিয়েছিল, বকেয়া পাওনার জন্য বসে আছে।
: তা ওর টাকাটা মিটিয়ে দিচ্ছ না কেন ?
: আরে ও বলেছে, যতক্ষণ না ওর পাওনা টাকা বুঝে পাচ্ছে ততক্ষণ আর একজন পাওনাদারকেও দোকানে ঢুকতে দেবে না।
♦
লেখক : আমি যে লেখালেখির কিছুই জানি না সেটা আমি এতদিনে বুঝতে পারলাম।
জনৈক ব্যক্তি : তা হলে এখন কি আপনি লেখালেখি ছেড়ে দেবেন?
লেখক : তা-ই বা কেমন করে দিই? এখন তো আমি বিখ্যাত লেখক।
♦
একটি বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন বেরিয়েছিল পত্রিকায়। সেটি দেখে একজন ক্রেতা এলেন বাড়ি কিনতে। বাড়ির মালিক বললেন, বাড়ি বিক্রি করব না।
: সে কী? তবে বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন কেন?
: বিজ্ঞাপন আমি দিলেও, লিখেছে তো কোম্পানির লোক।
: কিন্তু আপনার কথামতোই তো লিখেছে।
: তা লিখেছে। কিন্তু পড়ে মনে হচ্ছে বাড়িটা সত্যিই লোভনীয়। তাই আমি এবং আমার স্ত্রী ঠিক করেছি, বাড়িটা আর বিক্রি করব না।
-সংগ্রহ : তাসপিয়া রেহমান, শ্রীপুর, গাজীপুর।