আমার এক ছোট ভাই বললো, দিন কীভাবে বদলে যায়! সবকিছু চেঞ্জ হয়ে গেছে। এমনকি খাবারের উদ্দেশ্যও চেঞ্জ হয়ে গেছে। আমি বললাম, সহমত ব্রো। ছোটভাই বললো, ধুম করে ‘সহমত’ হয়ে যাইয়েন না তো! বিষয়টা আগে ভালোভাবে বোঝেন। আগে আমরা খাওয়াদাওয়া করতাম কোন উদ্দেশ্যে? ক্ষুধা নিবারণের উদ্দেশ্যে। কিন্তু এখন উদ্দেশ্য চেঞ্জ হয়ে গেছে। এখন মানুষ খায় ভাইরাল হওয়ার উদ্দেশ্যে। আমি বললাম, যদিও বিষয়টা সম্পর্কে আমি ততটা অবগত না, তবু সহমত ব্রো। তবে অবগত হতে চাই। একটু যদি ভেঙে বলতি আরকি। ছোটভাই বললো, আজকাল সাধারণ কোনো খাবারকেও মানুষ অসাধারণ আর ভাইরাল করে তুলছে অতিরিক্ত আগ্রহ দেখাতে গিয়ে এবং ছবি, সেলফি ইত্যাদি তুলতে গিয়ে। আমি বললাম, এই যেমন হাঁসের মাংস। ছোট ভাই এবার ধমক দিয়ে বললো, এখানে হাঁসের মাংসের কথা আসছে কেন? আমি বললাম, ভুল হয়ে গেছে। আর হাঁসের মাংসের কথা আসবে না। প্রয়োজনে গরুর মাংসের কথা আসবে দামটা একটু কমুক। ছোট ভাই বললো, এই যে মানুষ যে কোনো খাবারকে ভাইরাল বানিয়ে দিচ্ছে শুধু ছবি তুলে, এতে কিন্তু ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে। এবার ধমক দেওয়ার পালা আমার। মারলাম ধমক। আর বললাম, খাবারের ছবি তুললে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়, এই ফালতু কথা কোথায় পেলি? ছোটভাই বললো, ফালতু কথা না ভাই। মনে করেন একটা খাবার সামনে দেওয়া হলো। আপনার কাজ কী? খেয়ে ফেলবেন। কিন্তু সেটা তখন না খেয়ে যদি বিশটা ত্রিশটা ছবি তোলেন, হরেক পদের পোজ দেন, ততক্ষণে সেই খাবারে মাছি বসবে না? রাস্তার পাশের ধুলোবালি উড়ে এসে পড়বে না? এরপর যখন সেই খাবারটা আপনার পেটে যাবে, তখন যদি ডায়রিয়া দেখা দেয়, খুব কি অন্যায় হয়ে যাবে? ছোট ভাইয়ের যুক্তিটা আমার পছন্দ হলো। এই জন্য একটা ‘সহমত ব্রো’ মেরে দিলাম। তারপর বললাম, সবকিছুরই একটা পজিটিভ দিক আছে। আমি ভাবলাম আমার কথা শুনে ছোট ভাই বুঝি ‘সহমত ব্রো’ বলবে। কিন্তু সে বললো না। বরং ক্ষোভ ঝাড়া শুরু করলো, আমি বুঝি না মানুষের এত ভাইরাল হওয়ার শখ কেন। আগে ভাইরাল হতে চাইতো একা। আর এখন খাবারসহ। তাও যদি খুব আনকমন কোনো খাবার নিয়ে ভাইরাল হতে চাইতো, মনটাকে বুঝ দিতে পারতাম। বিশ্বাস করবেন না, ওইদিন দেখলাম একজন চানাচুর নিয়ে ভাইরাল হতে চাইছে। আর এই কাজ করতে গিয়ে সে করলো কি, চানাচুরওয়ালার যে পোশাক, সেটা পরলো। চানাচুরওয়ালার যে লম্বা টুপি, সেটা পরলো। তারপর তোলা শুরু করলো ছবি। এখন আপনিই বলেন, ভাইরাল হওয়ার জন্য এত কষ্ট করার দরকার আছে? আমি বললাম, আমি কিন্তু ভালো একটা আইডিয়া পেয়ে গেছি। এই যে চানাচুরওয়ালার পোশাক পরে ভাইরাল হওয়ার কথা বললি না? শীতকাল কিন্তু সমাগত। ছোটভাই বললো, বুঝতে পেরেছি, আপনি শীতকালীন ফুলকপি হাতে নিয়ে ভাইরাল হতে চাচ্ছেন। আমি বললাম, আরে না রে। আমি ভাইরাল হতে চাচ্ছি চানাচুরের সমপর্যায়ের একটা খাবার দিয়ে। যেটা শীতকালীন। কী জানিস? চিতই পিঠা। চিতই পিঠা নিয়ে প্রচুর ছবি দিলে ভাইরাল হতে পারবো না? ছোটভাই বললো, তা পারবেন। তবে চিতই পিঠা নিয়ে বেশি ছবি তুলতে গেলে ততক্ষণে কিন্তু ভর্তা শেষ হয়ে যাবে। প্রতিযোগিতার বাজার। বোঝেনই তো। আস্তে করে বললাম, সহমত ব্রো।
শিরোনাম
- ৩৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে সিরিজ হারল দক্ষিণ আফ্রিকা
- তারুণ্যনির্ভর নতুন বাংলাদেশ গড়তে এখনই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার সময় : নবীউল্লাহ নবী
- সমালোচনার মাঝেই শেষ হলো গামিনির বাংলাদেশ অধ্যায়
- অবশেষে মুখ খুললেন রাশমিকা, জানালেন কেন বিয়ে করছেন বিজয়কে
- ত্বকী হত্যায় জড়িত শামীম-অয়ন-আজমেরী-নিজাম: রফিউর রাব্বী
- বগুড়া আরডিএ’র নিয়োগ জালিয়াতি, জড়িতদের তথ্য পেয়েছে পুলিশ
- সংস্কৃতি মানুষকে সভ্য করে : কাদের গনি চৌধুরী
- মোবাইল আসক্তি বদলে দেবে দেহের গঠন
- ‘স্বাধীনতা রক্ষায় বিএনপিকে বিজয়ী করা ছাড়া বিকল্প নেই’
- আমরা অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই : মির্জা ফখরুল
- বিশ্বনাথে ৬ চোরাই সিএনজি উদ্ধার, ১ আটক
- ‘আঙ্গুল বাঁকা করে ঘি খাওয়া’ ’৭১ সালেই প্রত্যক্ষ করেছে জনগণ : প্রিন্স
- দিনাজপুরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ
- সংস্কার ছাড়া জনগণের কাছে আর কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয় : মামুনুল হক
- ২৩ মাঠ কর্মকর্তাকে বদলি করলো ইসি
- নেত্রকোনায় সীমান্তে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে : তৃপ্তি
- দাবি না মানলে ১১ নভেম্বর কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবে আট দল
- ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনা ব্যর্থ, দায়ী পাকিস্তান: তালেবান
- ইলেকশন অবজারভার সোসাইটির আত্মপ্রকাশ