♦ মেয়ে : মা, সুমন বলেছে আমি ওকে বিয়ে করতে রাজি হলে পুরো পৃথিবীটা ও আমার পায়ের তলায় এনে দেবে।
মা : পৃথিবী তোমার পায়ের তলাতেই আছে। তোমার এখন দরকার মাথার ওপর টাকার ছাদটা। সেটা ও দিতে পারবে কি না জিজ্ঞাসা করেছ?
♦
: আমার মেয়েকে যে বিয়ে করতে চাও ওকে খাওয়াবে-পরাবে কী? তোমার মাসিক আয়টা কত শুনি।
: নিশ্চিত আয় মাসে হাজার খানেক, আর এদিক ওদিক করে...
: হাজার খানেক! জানো, আমার মেয়ে আমার কাছ থেকে মাসে হাত খরচই পায় ১ হাজার টাকা।
: নিশ্চিত আয় বলতে আমি ওটাই মিন করছি।
♦
বড় বোন : আচ্ছা, আমি যখন গান করি তখন তুই বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকিস কেন?
ছোট বোন : আমি যে গানটা গাচ্ছি না সেটা অন্যদের বোঝানোর জন্য।
ট
মাঝনদীতে এসে নৌকার তলা ফুটো হয়ে গেছে। গলগল করে পানি উঠছে আর একটু একটু করে নৌকাটাও তলিয়ে যাচ্ছে সেই সঙ্গে। একজন বাদে নৌকার বাকি যাত্রীরা মহা আতঙ্কিত। পাগলের মতো এ-পাশ থেকে ও-পাশে ছোটাছুটি শুরু করে দিল সবাই। কিন্তু ওই একজন পায়ের ওপর পা দিয়ে বসে মিটিমিটি হেসেই চলেছে। তা দেখে তো বাকিরা অবাক, ‘ঘটনা কী, এমন বিপদেও, বোকার মতো হাসছ কেন শুনি!’
‘হাসব না! নৌকাটা তো আমাদের নয়! নৌকা ডুবলেই কী আর ভাসলেই বা কী!
♦
দুই মাতাল ইতালীয় পুলিশ রেললাইন ধরে গড়িয়ে গড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
—এত লম্বা সিঁড়ি! উঠতে উঠতে ক্লান্ত হয়ে গেলাম।
—আরেকটু অপেক্ষা করো। ওই দেখো, লিফট আসছে।
- সংগ্রহ : হোসনে আরা পারভীন, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহ