স্ত্রী ঘুম থেকে জেগে দেখেন স্বামী গেছেন রান্নাঘরে। স্ত্রী তো খুব খুশি। স্বামী সকালবেলা চলে গেছেন তার জন্য রান্না করতে! স্ত্রীকে দেখে স্বামী বললেন, ‘লক্ষ্মীটি, তুমি আপেলের জুস ঢালো গ্লাসে আর ফ্রিজ থেকে বের করে রুটিগুলো সেঁকে দাও! নাশতা তৈরি হয়ে গেলে বলো!’ স্ত্রীর মন ভরে উঠল। কী তৈরি করছেন স্বামী? নিজেকে সামলাতে না পেরে বললেন, ‘আজ কী নাশতা তৈরি করছ?’ স্বামী বললেন, ‘আজকের নাশতা আপেলের জুস আর সেঁকা রুটি।’
►
একটি সহজ গোল আটকাতে না পেরে দলের ম্যানেজারের সঙ্গে গোলরক্ষকের কথা হচ্ছে-
গোলরক্ষক : আমি খুব লজ্জিত। ইচ্ছা হচ্ছে নিজেই নিজেকে লাথি মারি।
ম্যানেজার : আমি নিশ্চিত, তুমি সেটাও মিস করবে।
►
সিনেমা হল থেকে তরুণ স্বামী বাইরে গেলেন স্ত্রীর জন্য আইসক্রিম কিনতে। আসনে ফেরার সময় প্রায় অন্ধকার হলে এক বৃদ্ধাকে বিনীতভাবে প্রশ্ন করলেন, আপনি কি সেই লোক, কিছুক্ষণ আগে আমি যার পা মাড়িয়ে দিয়েছিলাম?
: হ্যাঁ, কিন্তু আপনি তখন সামান্য দুঃখিত বলারও প্রয়োজন মনে করেননি।
: দুঃখিত! এবার আমি নিশ্চিত হলাম, এই সারিতেই আমরা বসেছি।
►
প্রবীণ শিক্ষক তার বহু পুরোনো খাতাটি থেকে নোট ডিকটেশন দিচ্ছেন। সবাই মনোযোগের সঙ্গে লিখে নিচ্ছে। পেছনে শুধু একটি ছেলে নির্বিকার বসে আছে।
: কী ব্যাপার, তুমি নোট নিচ্ছ না যে?
: দরকার নেই, স্যার।
: দরকার নেই! কেন?
: আব্বার নোট খাতা আমি খুঁজে পেয়েছি, স্যার। তিনিও আপনার ছাত্র ছিলেন।
►
ব্যাংক ডাকাতি করে ডাকাত দল চলে যাচ্ছে।
এক ডাকাত বলল, যাওয়ার আগে টাকাটা একবার গুনে নিলে হতো না, ওস্তাদ?
সর্দার বলল, গোনার দরকার নেই। কাল পত্রিকা দেখলেই হবে।
►
সাপ্তাহিক বেতনের দিন। চেক পেয়ে কর্মচারী চিৎকার দিয়ে উঠল।
: আমাকে কম টাকা দেওয়া হলো কেন?
: গত সপ্তাহে ভুলে তোমাকে বেশি টাকা দিয়েছিলাম। তখন তো কিছু বলোনি।
: একটা ভুল না হয় হয়ে গেছে, কিন্তু পরপর দুটি ভুল তো আর হতে দিতে পারি না।
-সংগ্রহ : মিতা নূর হাসান, বুড়িচং, কুমিল্লা