একদিন ‘নীলদর্পণ’ নাটকের রচয়িতা দীনবন্ধু মিত্র মাইকেল মধুসূদনের বাড়িতে এসেছেন নাট্য-আলোচনা করতে। আলোচনা জমে উঠেছে।
সেই সময় কুচবিহারের মহারাজার সংগীতগুরু মাইকেলের বাড়িতে এলেন। তিনি মাইকেলের ‘শর্মিষ্ঠা’ নাটকে অভিনয় করছেন। মধুসূদন সেই সংগীতগুরুর সঙ্গে দীনবন্ধুর আলাপ করিয়ে দিয়ে বললেন, ‘ইনি আমাদের লাইনে আছেন।’
দীনবন্ধু ভাবলেন মাইকেল যেহেতু উকিল, তাই এই সংগীতগুরুর পেশাও হয়তো একই। সে জন্য দীনবন্ধু বললেন, ‘ইনিও বুঝি ল-ইয়ার?’ দীনবন্ধুর কথা শুনে মাইকেল হেসে উঠে বললেন, ‘না হে না, ইনি নাট্যশিল্পবিদ, আমাদের লাইনই তো, নয় কি?’
দীনবন্ধু বুঝতে পারলেন এবং হেসে উঠলেন।
►
বৃদ্ধ বয়সে রবীন্দ্রনাথ ছবি আঁকার নেশায় মগ্ন হয়ে পড়েন। রানী চন্দ সেই সময় কবির কাছে এসে বসে থাকতেন এবং প্রয়োজন মতো কবিকে সাহায্য করতেন। যেমন- রং গুলে দেওয়া, তুলি এগিয়ে দেওয়া ইত্যাদি। কবি মাঝেমধ্যে রানী চন্দকে সামনে বসিয়ে মডেল করেও ছবি আঁকতেন। কিন্তু ছবি শেষ হলে রানী চন্দ সেই ছবির সঙ্গে নিজের কোনো মিল খুঁজে পেতেন না। তিনি ছবি দেখে হেসে কবিকে বলতেন, ‘গুরুদেব, এ কার ছবি? এ তো আমি নই!’
তখন রবীন্দ্রনাথ হেসে উত্তর দিতেন, ‘না রে এ তোরই ছবি, তোর তো গর্ব হওয়া উচিত, আমি তোকে কত রূপে এঁকেছি, দেখতো!’
রানী চন্দকে কবিগুরু বিশেষ স্নেহ করতেন।