কফির দোকানে এক তরুণী বান্ধবীদের সঙ্গে আড্ডায় বসেছেন। সবাই বিয়ে নিয়ে কথা বলছেন। ওই তরুণী বললেন, ‘আমি যে পুরুষকে বিয়ে করব, তাকে অবশ্যই একটি বড় প্রতিষ্ঠানের কেউ হতে হবে। তাকে গান জানতে হবে, মজার মজার গল্প জানতে হবে এবং অবশ্যই রাতে বাসায় থাকতে হবে।’
এ কথা শুনেই পাশ থেকে এক বান্ধবী ফোঁড়ন কাটলেন, ‘তুমি একটা টেলিভিশনকেই বিয়ে করে ফেল না কেন!’
► দুই বন্ধুতে কথা হচ্ছে।
প্রথম বন্ধু : আচ্ছা, বিয়ের পর তোরা দুজন কি সুখে আছিস?
দ্বিতীয় বন্ধু : অবশ্যই। প্রতি সপ্তাহেই আমরা রেস্তোরাঁয় খেতে যাই। খাওয়া শেষে কিছুক্ষণ পার্কে হেঁটে বেড়াই। মনের আনন্দে গান গাই।
প্রথম বন্ধু : বাহ্! সপ্তাহের কোন দিনটায় যাস তোরা?
দ্বিতীয় বন্ধু : ও যায় বুধবার, আর আমি যাই শনিবার।
► কম্পিউটার সফটওয়্যার প্রোগ্রামার স্বামী ল্যাপটপ নিয়ে কাজে মগ্ন। স্ত্রী এসে বলল, দাও না গো, একটু খেলি?
মনিটর থেকে চোখ না সরিয়ে উত্তর দিল প্রোগ্রামার, তুমি যখন রান্না করো, আমি কখনো হাঁড়ি চাই তোমার কাছে?
► স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কয়েক দিন ধরে মুখ দেখাদেখি বন্ধ। কেউ কারও সঙ্গে কথা বলেন না। আর যতটুকু বলা প্রয়োজন, তা ইশারায় জানিয়ে দেন। স্বামী দেখলেন, পরের দিন ভোরে তার ফ্লাইট। তাকে উঠতে হবে ভোর পাঁচটায়। কিন্তু স্ত্রী যদি জাগিয়ে না দেন, তবে কিছুতেই ভোরবেলায় তার ঘুম ভাঙবে না। এদিকে তারা কথাও তো বলেন না। কী আর করা! স্বামী একটা কাগজে লিখে দিলেন, ‘দয়া করে ভোর পাঁচটায় আমাকে জাগিয়ে দেবে।’ কাগজটি টেবিলের ওপর রেখে দিলেন, যাতে স্ত্রী দেখতে পান। কিন্তু পরের দিন যখন তার ঘুম ভাঙল, তখন সকাল নয়টা বেজে গেছে এবং বিমানও তাকে ছেড়ে চলে গেছে। তিনি রেগে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলেন, কেন তাকে জাগানো হলো না। এদিকে স্ত্রীও সমান তেড়ে, ‘এত রাগছো কেন? আমি তো তোমার ওই কাগজটিতে লিখে রেখেছি যে, এখন ভোর পাঁচটা বাজে, ঘুম থেকে ওঠো। কিন্তু তুমি তো টেরই পেলে না। আমার কী দোষ?’
► শিক্ষক : জসিম, তুমি চার বিষয়ে ফেল করেছ, আর একটা মাত্র বিষয়ে পাস করেছ? তোমার সমস্যা কী?
জসিম : আমি বোধহয় একটা বিষয়ে বেশি মনোযোগ দিয়ে ফেলেছিলাম।
-সংগ্রহ : মারফত হোসাইন, জাজিরা, শরীয়তপুর।