পবিত্র কোরআন মাজিদ অবমাননার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়ে দোষী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস ও হেফাজতে ইসলাম। গতকাল পৃথক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমেদ, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এবং হেফাজতে ইসলামের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব সাজেদুর রহমান এ দাবি জানান। বিবৃতিতে গোলাম পরওয়ার বলেন, গত ৪ আগস্ট নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপূর্ব পালের ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে পবিত্র কোরআনুল কারিম অবমাননার জঘন্য ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এ ঘটনায় বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানসহ শান্তিকামী সব নাগরিক গভীরভাবে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ। বিবৃতিতে খেলাফত আমির বলেন, বিশ্ববাসীকে পথপ্রদর্শনের জন্য মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ মহাগ্রন্থ আল কোরআনের অবমাননা কোনো মুসলমান সহ্য করতে পারে না। বাংলাদেশের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে এ ধরনের ধৃষ্টতা যে ব্যক্তি দেখিয়েছে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বিবৃতিতে হেফাজত আমির বলেন, অপূর্ব রাদের (অপূর্ব পাল) কোরআন অবমাননার জঘন্য দৃশ্য দেশের কোটি কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছে। ওই শিক্ষার্থী নিজেই তার ফেসবুক প্রোফাইলে কোরআন অবমাননার ভিডিও চিত্র প্রচার করে আরও বড় অপরাধ করেছেন। মাওলানা ইউনুস আহমেদ কোরআন অবমাননার পেছনের উসকানিদাতাকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি করেন।
গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ। মানববন্ধনে বক্তারা অপূর্ব পালের কোরআন অবমাননার প্রতিবাদ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।