আগের বছরের তুলনায় চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিজ নিজ দেশে অর্থ প্রেরণের হার ৮% বেড়েছে। সরকারি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বিশ্বখ্যাত ‘নিউজউইক’ সংবাদটি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের দিন ২০ জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখ পর্যন্ত আট মাস ১১ দিনে ৪ লাখ অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তারের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে। একই সময়ে আরও ১৬ লাখ অবৈধ অভিবাসী ট্রাম্পের এ অভিযানের আতঙ্কে নিজ দেশে ফিরে গেছেন। আর এমন একটি ভীতিকর পরিস্থিতির কারণেই অবৈধভাবে বসবাসরতরা অর্জিত অর্থের প্রায় সবটাই নিজ দেশে পাঠাচ্ছেন। এমনকি সহায়-সম্পত্তি অথবা ব্যবসা-বাণিজ্য থাকলে সেগুলোও দ্রুত বিক্রি করে সমুদয় অর্থ নিজ দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। সংবাদে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত আট মাসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ল্যাটিন আমেরিকায় ১৬১ বিলিয়ন ডলার প্রেরণ করেছেন প্রবাসীরা। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে তা ৮% বেশি। এটা হচ্ছে বৈধপথে পাঠানো রেমিট্যান্স। এর বাইরে হুন্ডি তথা অবৈধ পথেও পাঠাচ্ছেন অনেকে। ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত ‘দ্য মাইগ্রেশন, রেমিট্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম’র পরিচালক ম্যানুয়েল ওরোজকো বলেছেন, ‘যে কোনো সময় গ্রেপ্তারের আতঙ্কে থাকা অবৈধ অভিবাসীরা দিন শেষে পারিশ্রমিক/মজুরি হিসেবে যা হাতে পাচ্ছেন তার ৭৫% স্বজনের কাছে পাঠাচ্ছেন’। নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানে রেস্টুরেন্ট কর্মী মানিক মিয়া বলেন, ‘২২ বছর ধরে নিউইয়র্কে বাস করছি। এখন পর্যন্ত গ্রিনকার্ড পাইনি। ওয়ার্কপারমিটে কাজ করতে হচ্ছে। তবুও স্বস্তি পাচ্ছি না। কারণ, আমার মতো অনেকে এরই মধ্যে আইসের (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এজেন্ট) কাছে ধরা পড়েছেন এবং তাদের নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা সঙ্গে নিতে পারেননি কিছুই। তাই উপার্জিত অর্থের পুরোটাই পাঠিয়ে দিচ্ছি স্ত্রী-সন্তানের কাছে। দিন কাটছে ভয়ংকর একটি অবস্থার মধ্যে। ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরই পাল্টে গেছে নিউইয়র্ক সিটির চেহারাও। সবকিছু অপরিচিত মনে হচ্ছে।’