বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার করতে সক্ষম এমন স্বনামধন্য ১২টি আইনি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে চুক্তির নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল ব্যাংকগুলোর সঙ্গে একটি সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এ নির্দেশনা দেন। সভায় গভর্নরের উপদেষ্টা ফারহানুল গনি চৌধুরী, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নির্বাহী পরিচালক মফিজুর রহমান খান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ব্যাংকগুলোকে জানানো হয়, যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ পাচার হয়েছে সেগুলোর তালিকা ও অর্থের গন্তব্য দেশগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। অন্য দেশগুলো কী ধরনের কার্যক্রম ও আইনি পথ অনুসরণ করেছে, তা ভিত্তি করে বাংলাদেশও একই ধরনের কার্যকর পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারে বলে পরামর্শ দেওয়া হয়। সভা শেষে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মহাব্যবস্থাপক (এমডি) ওমর ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরাতে আন্তর্জাতিক আইন ও সম্পদ পুনরুদ্ধার সংস্থার সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি ব্যাংক অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করবে; অন্য ব্যাংকগুলো তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। পরে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন করে টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার করতে ব্যাংকগুলোকে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি, যদি ব্যাংকগুলোর নিজস্ব পরিচিত কোনো প্রতিষ্ঠানে বিশ্বাস থাকে, তারা ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও আলাপ-আলোচনা করতে পারবে। প্রাথমিকভাবে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিদেশি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ হলে তারা প্রাসঙ্গিক ডকুমেন্ট পরীক্ষা করে নির্ধারণ করবে কোন সম্পদ উদ্ধার করা সম্ভব এবং কোনটি হবে না।