উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারপ্রতি ৭ কোটি টাকা এবং আহতদের ২ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছেন অভিভাবকরা। গতকাল কলেজের প্রশাসনিক ভবনের প্রবেশপথে ব্রিফিংয়ে তারা এসব দাবি উপস্থাপন করেন।
এর আগে নিহতের স্বজনরা আট দফা দাবি নিয়ে অধ্যক্ষ ও উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিতে চাইলে কর্তৃপক্ষ তা গ্রহণ করেনি। অভিভাবকদের দাবিগুলো হলো- বিমান দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার, মাইলস্টোনসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ, সরকারের পক্ষ থেকে নিহত প্রতিটি পরিবারকে ৫ কোটি ও আহতদের জন্য ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ, স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে নিহত পরিবারকে ২ কোটি ও আহতদের জন্য ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ, রানওয়ে-সংলগ্ন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থান পরিবর্তন বা বিকল্প ব্যবস্থা, কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগে স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষিকা খাদিজাকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ ও বিচার, স্কুলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ এবং বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জনশূন্য এলাকায় স্থানান্তর। অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, পূর্ব অনুমতি নিয়েই তারা ক্যাম্পাসে স্মারকলিপি জমা দিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু দুপুরে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে গেলে নিরাপত্তাপ্রহরীরা বাধা দেন। পরে বাধা উপেক্ষা করে কনফারেন্স রুমে অবস্থান নিলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে স্মারকলিপি নিতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে অভিভাবকরা স্মারকলিপি না দিয়েই ফিরে আসেন। এ সময় নিহত আফিয়ার মা, ফাতেমার মামা, ফাইজার বাবা, তানভীর আহমেদের বাবাসহ অন্তত ১২-১৫ জন স্বজন উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ বুলবুল বলেন, আমরা তিন-চারজনের প্রতিনিধিদলকে স্মারকলিপি দিতে বলেছিলাম। কিন্তু অনেক অভিভাবক একসঙ্গে প্রবেশ করায় বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরি হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি সহমর্মী এবং তাদের দাবিগুলো পর্যালোচনা করে বিবেচনা করবে।