উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা প্রবল বৃষ্টির কারণে কুড়িগ্রামের তিস্তা, দুধকুমর ও ব্রহ্মপুত্র নদসহ সবকটি নদ নদীর পানি এখন অনেক কমে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো বন্যার্তরা রয়েছেন কষ্টে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে পানি বাড়লেও তা রবিবার দুপুরের দিকে স্থির অবস্থানে থাকে এবং পরে আবার কমতে থাকে।
এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র নদের নুনখাওয়া, হাতিয়া ও চিলমারী এ তিনটি পয়েন্টেও পানি বাড়লেও দুপুরের পর একটু কমেছে। অন্যান্য সকল নদীর পানি দ্রুতই কমে এখন জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। তবে চরাঞ্চলের মানুষের কৃষি জমি ও পানিতে তলিয়ে থাকা ফসল রয়েছে নষ্টের আশংকায়।
এদিকে, নদনদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চলসমূহ থেকে পানি কমে গেলেও এসব এলাকার চরের ও দ্বীপচরের কৃষি জমির তলিয়ে থাকা ফসলগুলো এখনও পানিতে নিমজ্জিত। পানি দ্রুত সরে গেলে কিছুটা রক্ষা হতে পারে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আসাদুজ্জামান জানান, চলতি এ বন্যায় জেলার নদনদী অববাহিকার ৭১৪ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। তম্মধ্যে কলা, শাক সবজি ও রোপা আমন বীজতলাসহ অন্যান্য ফসল তলিয়ে গেছে। পানি কমে গেলেও অনেক শাক সবজি নষ্ট হযে গেছে। পরবর্তীতে ক্ষতি নিরুপন করে কৃষকদের কৃষি বিভাগ থেকে সরকারের দেয়া সহযোগিতা প্রদান করা হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/এএম