সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৫ আবারও সংশোধন করছে সরকার। গতকাল অধ্যাদেশটির ৫০ ধারা সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে রহিত হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১, ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩১ ধারায় দায়েরকৃত তদন্তাধীন মামলাগুলো বাতিল হয়ে যাবে। এমনকি এসব মামলায় কারও দণ্ড হয়ে থাকলে তা-ও বাতিল বলে গণ্য হবে।
গতকাল সাইবার সুরক্ষা (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫ এর খসড়া উপদেষ্টা পরিষদে অনুমোদিত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিতে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। একই দিনে উপদেষ্টা পরিষদে ১১টি অধ্যাদেশ ও তিনটি প্রস্তাব অনুমোদন হয়। এগুলোর মধ্যে ছিল আমানত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, সমস্যাগ্রস্ত পাঁচটি ব্যাংকে একীভূতকরণ প্রস্তাব, ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, জাতীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, সাইবার সুরক্ষা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, কাস্টমস আইন সংশোধন অধ্যাদেশ, আয়কর আইন সংশোধন অধ্যাদেশ, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন দ্বিতীয় সংশোধন অধ্যাদেশ ইত্যাদি। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী। শুরুতে শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, গতকাল কেবিনেটে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এসেছে। তার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তিনটা বিষয় ছিল- ব্যক্তিগত উপাত্ত সুরক্ষা অধ্যাদেশ, জাতীয় উপাত্ত ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ ও সাইবার সুরক্ষা (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন। প্রত্যেকটি আইনে ব্যাপকভিত্তিক স্টেকহোল্ডারদের সংশ্লিষ্ট করা হয়েছে। সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ সংশোধন প্রসঙ্গে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, গত ২১ মে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ পাস হয়। সেখানে ছোট্ট একটা ভুল ছিল।