আমার এক বড়ভাই বললেন, বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলে দেয়। আমি বললাম, এটা তো পুরোনো কথা। হঠাৎ করে এ কথা বলার কারণ কী? এছাড়া প্রেম-ভালোবাসা বিষয়ক কথাবার্তা মানুষ ভালোবাসা দিবসকে কেন্দ্র করে বলে। আপনি এই অফ সিজনে কেন বললেন? বড়ভাই হাসলেন। হালকা করে কাশলেন। তারপর বললেন, বলার কারণ আছে হে বৎস। বড় প্রেম যেমন শুধু কাছেই টানে না, দূরেও ঠেলে দেয়, ঠিক তেমনই ঈদ-পরবর্তী অর্থনৈতিক বেদনাও দেয়। অল্প-বিস্তর বলছি কেন, ভালোই বেদনা দেয়। আর সেই বেদনা পর্বটাই এখন চলছে। আহা! পকেট ফাঁকা হওয়ার বেদনা যে কত তীব্র, সবাই যদি বুঝত! খুব কষ্টে আছি রে ভাই, খুব কষ্টে আছি। অনেকটা চুলকানির মতো ব্যাপার। আমি অবাক হয়ে বললাম, চুলকানির মতো ব্যাপার বলতে? বড়ভাই বললেন, চুলকানি হচ্ছে এমন একটা জিনিস, যতক্ষণ চুলকাবি, মজাই লাগবে। মজাই লাগবে। তারপর যখন চুলকানো শেষ করবি, মনে হবে কেউ মরিচ লাগিয়ে দিয়েছে। তার মানে এত জ্বালা জ্বালবে। আমি বললাম, ঘটনা সত্য। কিন্তু এসব কথা এখন কেন বলছেন? বড়ভাই বললেন, এই ছুটিতে যখন খরচ করি, এটা কিনি, সেটা কিনি, তখন চুলকানির মতোই আরাম পাই। কিন্তু ছুটির পরের সময়টায় যখন দেখি পকেট ফাঁকা, তখন শুধু জ্বলে আর জ্বলে। যেন কেউ মরিচ লাগিয়ে দিয়েছে, এমন একটা অবস্থা আর কি। আমি বললাম, এতে কষ্ট পাওয়ার বা মন খারাপ করার কিছু নেই। কারণ, সবার পকেটই ফাঁকা। বড়ভাই বললেন, যার পকেট আছে, তার হয়েছে যত জ্বালা। যেহেতু ফাঁকা। আর যার পকেটই নেই, তার কোনো জ্বালা নেই। আমি বললাম, আপনার মতো লোকজনের সব দিক দিয়েই সমস্যা। অতএব, পকেট ফাঁকা হয়ে যাওয়ার কারণে যতই জ্বলুক, মুখ বন্ধ রাখতে হবে। কোনো কথা বলা যাবে না। বড়ভাই বললেন, আমার পকেট ফাঁকা হয়েছে তোর ভাবির অতিরিক্ত কেনাকাটার জন্য। অতএব, এর দায় তাকে নিতেই হবে। আমি বললাম, দায়টা কীভাবে নেবে? মানে সিস্টেমটা কী? বড়ভাই বললেন, সিস্টেম আবার কী? যতদিন আমার ফাঁকা পকেট না ভরবে, ততদিন আমাকে বাজারে পাঠাতে পারবে না। আমি বললাম, বাজারে না পাঠিয়েও কিন্তু স্বামীকে চাপে রাখা যায়। মনে করেন অনলাইনে জিনিসপত্র অর্ডার করল, তখন কী করবেন? বড়ভাই ঢোক গিললেন। তারপর বললেন, তাহলে আমার মতো পকেট ফাঁকা স্বামী যাবে কোথায়? আমি বললাম, যাওয়ার আসলে তেমন কোনো জায়গা নেই। তবু নিতান্তই যদি আত্মরক্ষা করতে চান, গরমের ওপর দায় চাপিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে পড়েন। এখানে সেখানে শুয়ে বসে মাসের বাকি দিনগুলো কাটিয়ে দেন। কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে বলবেন, এই গরমে চার দেয়ালে বন্দি থাকা যায়? তাই বাধ্য হলাম বেরিয়ে পড়তে। যা-ই হোক, মাসের বাকি দিনগুলো কেটে যাওয়ার পর যখন হাতে টাকা আসবে, তখন আবার বাসায় ফিরে আসবেন। বড়ভাই বললেন, তোর বুদ্ধিটা ভালো লাগল না। আমি বললাম, আপাতত এর চেয়ে ভালো বুদ্ধি দেওয়া সম্ভব না। আরে বাপুরে, কেন বুঝতে পারছেন না পকেট শুধু আপনারই ফাঁকা না, আমারও ফাঁকা। তো ফাঁকা পকেটে বুদ্ধি দিলে কতটুকুই বা ভালো বুদ্ধি দেওয়া যায়? পকেটে টাকা আসুক। তখন না হয় আরও ভালো বুদ্ধি দেব। সেই পর্যন্ত আমার সঙ্গেই থাকুন।
শিরোনাম
- এসএসসি পরীক্ষায় সেনাবাহিনী পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের অসাধারণ সাফল্য
- ফ্যাসিষ্ট হাসিনার মন্ত্রী আব্দুর রহমানের বিচার দাবিতে মানববন্ধন
- বাসের রেষারেষিতে জাবি শিক্ষার্থীর বাবার মৃত্যু, মৌমিতার ১০ বাস আটক
- লুট হওয়া অস্ত্রসহ ডাকাত গ্রেফতার
- কাপ্তাই হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন
- রামপুরায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু
- শিবচরে সরকারি হাসপাতালে রোগীদের খাবার দিতে বিলম্ব, স্বজনদের ক্ষোভ
- ডেমরায় বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত
- কারাগারে আবুল বারকাত
- চুরি-ডাকাতি ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদে ঝিনাইদহে মানববন্ধন
- সাফে শ্রীলঙ্কাকে ৯ গোলে বিধ্বস্ত করলো বাংলাদেশ
- শিবচরে আড়িয়াল খাঁ নদের সেতুর কাছে ভাঙছে পাড়
- বিদেশি নারী ধর্ষণ: কে-পপ তারকার সাজা অর্ধেক করল আদাল
- আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদকে অপবিত্র করেছে : আলাল
- হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আট মাস পর কাঁচামরিচ আমদানি শুরু
- এসএসসিতে গোপালগঞ্জে সেরা ‘রাবেয়া-আলী গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ’
- রাজবাড়ীতে ওজোপাডিকোর কর্মচারী গ্রেফতার
- উরি র্যাঙ্কিংয়ে ফের শীর্ষে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
- শেরপুর সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ১০ জনকে পুশইন
- টঙ্গীতে ছিনতাইকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
পকেট ফাঁকা
নিতান্তই যদি আত্মরক্ষা করতে চান, গরমের ওপর দায় চাপিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে পড়েন। এখানে সেখানে শুয়ে বসে মাসের বাকি দিনগুলো কাটিয়ে দেন...
ইকবাল খন্দকার
প্রিন্ট ভার্সন
