মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার সন্যাসীরচরে ঢাকা-ভাঙ্গা মহাসড়কের কোল ঘেঁষেই নির্মাণ করা হয়েছে অত্যাধুনিক ট্রমা সেন্টার। ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছিল এই সেন্টারটি। আড়াই বছর আগে এটি উদ্বোধন করা হলেও চিকিৎসাসেবা চালু হয়নি আজও। ফলে এটি এখন মাদকের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই চুরি হচ্ছে মূল্যবান জিনিসপত্র। এসব দেখারও কেউ নেই।
এলাকার স্থানীয় এবং মহাসড়কে চলাচলকারী পরিবহন চালকেরা জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি রীতিমতো মহামারি রূপ নিয়েছে। আহত ব্যক্তিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধার করা গেলে প্রাণহানি অনেকাংশে রোধ করা সম্ভব। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই নির্মিত হয়েছিল শিবচরের ট্রমা সেন্টারটি। তবে সেবা না থাকায় এটি কোনো কাজেই আসছে না। ১২ কোটি টাকার প্রতিষ্ঠানটি পড়ে আছে বছরের পর বছর। এতে করে রাষ্ট্রীয় সম্পদের তো অপচয় হচ্ছেই, জনগণও বঞ্চিত হচ্ছেন সেবা থেকে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ট্রমা সেন্টারের মূল ফটক খোলা। ভবনের ভিতরেও প্রবেশ করা যাচ্ছে অনায়াসে। কয়েক দফায় এখান থেকে চুরি গেছে এসি, ফ্রিজ, টেলিভিশন, সেনেটারি মালামাল, পানির মোটরসহ দামি জিনিসপত্র। দলবেঁধে মাদকসেবীসহ অপরাধীরা এ স্থানে থাকে। সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা গেছে, ট্রমা সেন্টারে সাতজন পরামর্শক চিকিৎসক (কনসালট্যান্ট), তিনজন অর্থোপেডিকস সার্জন, দুজন অ্যানেসথেটিস্ট, দুজন আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তাসহ মোট ১৪ জন চিকিৎসক, ১০ জন নার্স এবং ফার্মাসিস্ট, রেডিওগ্রাফার, টেকনিশিয়ানসহ ৩৪টি পদ সৃজনের প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে তা আর আলোর মুখ দেখেনি। মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. শরীফুল আবেদীন কমল বলেন, শিবচরের ট্রমা সেন্টারটি এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। শুনেছি ওখানকার কিছু জিনিসপত্র চুরি হয়েছে। ট্রমা সেন্টারটি চালু না হওয়ার পেছনে রয়েছে জনবল সংকট। আমরা হাসপাতালটির হস্তান্তর পেয়েছি। কিন্তু এটি পরিচালনা করতে যে জনবল প্রয়োজন তা পাইনি। আমরা কর্তৃপক্ষকে চাহিদা দিয়ে রেখেছি। আশা করি শিগগিরই জনবল পাওয়ার মাধ্যমে আমরা সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।