সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে সংক্ষুব্ধদের প্রায় ৩০টির বেশি আবেদন আদালতে গড়িয়েছে। এর মধ্যে বাগেরহাটের আসন পুনর্বহাল নিয়ে হাই কোর্টর রায়ের কপি এখনো নির্বাচন কমিশন হাতে আসেনি। আদেশের সার্টিফাইড কপি ইসি পেলে করণীয় ঠিক করবে কমিশন। তবে সংসদীয় আসনের জটিলতার মীমাংসায় বিলম্ব ঘটলে সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন ইসি সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ। তিনি আরও জানান, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে সংলাপ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন।
গতকাল নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ইসির সিনিয়র সচিব। তিনি বলেন, আমরা এখনো সার্টিফায়েড কপি পাইনি। রায়ের কপি হাতে পেলে ইসি পর্যালোচনা করে আপিল করা হবে কি হবে না- পরবর্তী করণীয় ঠিক হবে। তিনি আরও বলেন, দাবি-আপত্তি শেষে সংসদীয় আসনের পুনর্নির্ধারিত চূড়ান্ত সীমানা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। তবুও রায়ের পর্যবেক্ষণ না দেখে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সীমানা পুনর্নির্ধারণ বিষয়ে সংক্ষুব্ধদের ৩০টির বেশি আবেদন আদালতে গড়িয়েছে। এসবের মীমাংসায় বিলম্ব ঘটলে তফসিলে প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, প্রভাব পড়তে পারে।
তিনি জানান, ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হবে। ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণা করবে ইসি। সে লক্ষ্যে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু হবে। এ নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করছি। কারা আসবে, কাদের আগে ডাকা হবে সেগুলো ঠিক করতে হবে। এ মাসের মধ্যে দলগুলোর সঙ্গে দলের সঙ্গে মতো বিনিময় কার্যক্রমটা শেষ করতে চাই, যাতে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো যায়।
বৃহস্পতিবার ১২ দলের সঙ্গে সংলাপ : গতকাল ইসির জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. আশাদুল হক জানিয়েছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রথম দিন ১২টি দলের সঙ্গে বসবে সংস্থাটি।
এর মধ্যে সকাল ১০ থেকে ১২টা পর্যন্ত লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জন্য সময় বরাদ্দ রেখেছে ইসি। এরপর বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম)-এর সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।