মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক করে মাদ্রাসাছাত্রীকে পতিতালয়ে বিক্রির দায়ে প্রেমিককে ৭ বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল বরিশালের মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোহেল আহমেদ এ রায় দেন।
দণ্ডিত ইমন হোসেন (২২) পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার জলশি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় সে আদালতে উপস্থিত ছিল। মামলার বরাতে ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা বলেন, নবম শ্রেণির ছাত্রীর (১৫) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে ইমন হোসেন ২০২৪ সালের ১১ মার্চ কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভনে নিয়ে যায়। কিশোরীর নিখোঁজের ঘটনায় বাকেরগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে বাকেরগঞ্জ থানার এসআই মিজানুর রহমান ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল র্যাব-৮ এর সহায়তায় পটুয়াখালী শহর থেকে কিশোরীকে উদ্ধার ও তার প্রেমিকসহ পতিতা পল্লির দুই নারীকে আটক করে। আটকের পর পতিতা পল্লির দুই নারী স্বীকার করে-ইমন প্রেমের ফাঁদে ফেলে কিশোরীকে এনে ৩০ হাজার টাকায় তাদের কাছে বিক্রি করেছে। এ ঘটনায় এসআই মিজানুর রহমান ইমনসহ পল্লির দুই নারীকে আসামি করে বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা করেন। বাকেরগঞ্জ থানার এসআই আবদুল্লাহ আল মামুন ২০২৪ সালের ১৫ অসাস্ট তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। ট্রাইব্যুনাল দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। পরে ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় দেন।