রোজার মাস সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য আমদানি সহজ করতে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে নগদ মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল জারি করা এক নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, রোজাসংশ্লিষ্ট পণ্যের সরবরাহ ও মূল্যসহনীয়তা নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, চাল, গম, পিঁয়াজ, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা, মটর, মসলা ও খেজুর এই ১০টি পণ্যের আমদানি এলসি খোলার সময় নগদ মার্জিনের হার ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নির্ধারণ করতে হবে। এর আগে গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর জারি করা সার্কুলার অনুযায়ী কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের আমদানি এলসিতে ১০০ শতাংশ নগদ মার্জিন বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। পরে ওই বছরের ৬ নভেম্বর রোজাকেন্দ্রিক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে মার্জিন শিথিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়, চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, রোজা ঘিরে এসব ভোগ্যপণ্যের চাহিদা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়। তাই বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করা ও মূল্য সহনীয় রাখার স্বার্থে এ নতুন ছাড় দেওয়া হলো।
একই সঙ্গে, অভ্যন্তরীণ বাজারে যথাযথ সরবরাহ বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট আমদানি এলসিগুলো খোলায় ব্যাংকগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকবে।