ফিলিস্তিনিদের ওপর নজিরবিহীন ইসরায়েলি বর্বরতায় জাতিসংঘে যখন ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে তখন সবকিছুকে অগ্রাহ্য করে ইসরায়েল সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এরই অংশ হিসেবে গ্রিস উপকূলের কাছে ফিলিস্তিনিদের জন্য জাহাজে বহন করা কয়েকটি ত্রাণ বহরে তারা ড্রোন হামলা চালিয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর এ হামলা চালানো হয়। সূত্র : ফ্রান্স ২৪। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, একাধিক ড্রোন নিক্ষেপ করা হয়েছে। এ সময় নৌযানগুলোতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাও অচল করে দেওয়া হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
নোবেল পেতে চাইলে যুদ্ধ থামাতে হবে : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে চাইলে তাকে অবশ্যই গাজার যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। মঙ্গলবার নিউইয়র্ক থেকে ফ্রান্সের বিএফএম টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যাক্রোঁ এ মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করে যুদ্ধ থামানোর ক্ষমতা কেবল ট্রাম্পেরই আছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের অর্থদাতা চীন ও ভারত : জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ‘প্রধান অর্থদাতা’ ভারত ও চীন। রাশিয়ার তেল কেনা অব্যাহত রেখে তারা মস্কোকে যুদ্ধের জন্য অর্থ জুগিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এ ছাড়া রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি কমাতে যথেষ্ট পদক্ষেপ না নেওয়ার জন্য ন্যাটো দেশগুলোরও সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স
গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প সাড়ে তিন বছর ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলার জন্য ভারত এবং চীনকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সরকারের ধারাবাহিক আর্থিক মদতের কারণেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে আগ্রাসন চালিয়ে যেতে পারছেন।’ ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি ক্ষমতায় থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুই হতো না। বলেন, ‘রাশিয়া থেকে সব দেশকে জ্বালানি কেনা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। তা না হলে আমাদের সবারই কেবল বিশাল সময় নষ্ট করা হবে।’
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, ‘এখন একমাত্র প্রশ্ন হচ্ছে, দুই পক্ষের আর কতগুলো প্রাণ অপ্রয়োজনে ঝরে যাবে সেটি। চীন ও ভারত রাশিয়ার তেল কিনে এই চলমান যুদ্ধে প্রধান অর্থদাতা হয়ে উঠেছে। এমনকি ন্যাটো দেশগুলোও রাশিয়ার জ্বালানি কেনা বন্ধ করছে না।’ রক্তক্ষয় বন্ধ করতে খুব শিগগিরই আরেক দফায় শুল্ক আরোপের হুমকিও দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ করতে যুক্তরাষ্ট্র আরেক দফায় খুবই শক্তিশালী শুল্ক আরোপ করতে পুরোপুরি প্রস্তুত, যাতে দ্রুতই রক্তক্ষয় বন্ধ হয়।’