গাজীপুরের টঙ্গীতে কেমিক্যাল গোডাউনে বিস্ফোরণের ঘটনায় শতভাগ দগ্ধ ফায়ার ফাইটার নুরুল হুদা (৪০) মারা গেছেন। গতকাল দুপুরে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি মারা যান। এর আগে একই ঘটনায় গত মঙ্গলবার মারা যান ফায়ার ফাইটার শামীম হোসেন। তারও শরীরের শতভাগ দগ্ধ হয়েছিল। নুরুল হুদার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, নুরুল হুদার শরীরের শতভাগ পুড়ে গিয়েছিল। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছিল। সেখানেই তিনি মারা গেছেন। বর্তমানে ফায়ার ইন্সপেক্টর খন্দকার জান্নাতুল নাঈম এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন। ৪২ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানিয়েছে, নুরুল হুদা ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার আবদুল মনসুরের ছেলে। তিনি স্ত্রী-সন্তান নিয়ে টঙ্গীতে থাকতেন। ২০০৭ সালে চাকরিতে যোগদান করেন তিনি। গতকাল সন্ধ্যার পর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে জানাজা শেষে লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে টঙ্গী বিসিক এলাকায় ফেমাস কেমিক্যালস লিমিটেড নামে একটি টিনশেড সেমিপাকা গোডাউনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে সেখানে যান ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিটের ৫৩ জন সদস্য। আগুন নির্বাপণের সময় হঠাৎ বিকট বিস্ফোরণ হলে দগ্ধ হন ৪ ফায়ার ফাইটারসহ আরও কয়েকজন। ফায়ার সার্ভিসের চারজনের মধ্যে জয় হাসান নামে একজনের শরীরের ৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নুরুল হুদা ও শামীম আহমেদের শ্বাসনালিসহ শরীরের প্রায় শতভাগ পুড়ে যায়। আর ইন্সপেক্টর খন্দকার জান্নাতুল নাঈমের ৪২ শতাংশ পুড়ে গেছে। এদের মধ্যে শামীম ও নুরুল হুদা মারা গেছেন।