ঘুষ কেলেঙ্কারিতে এবার বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক ফার্স লেডি কিম কোয়েন হি। বুধবার তিনি আদালতে হাজিরা দেন। কিমের বিরুদ্ধে ঘুষ ও স্টক কারসাজির অভিযোগ আনা হয়েছে। তাকে কালো স্যুট পরে আদালতে যেতে দেখা যায়।
এর মাধ্যমে আগস্টের পর তিনি প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে আসলেন।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদালতে তিনি ব্যক্তিগত তথ্য দিয়েছেন এবং জুরির বদলে বিচারকের মাধ্যমে তার বিচারকার্য সম্পন্ন করার কথা বলেছেন।
একজন প্রসিকিউটর কিমের বিরুদ্ধে স্টক কারসাজি, রাজনৈতিক তহবিল সংগ্রহ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছেন। তবে কিমের আইনজীবী তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, প্রসিকিউটররা তাদের কাছে থাকা প্রমাণের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেনি। কিমের বিরুদ্ধে আনা কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হলে জরিমানা থেকে শুরু করে তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে। এর আগে বিদ্রোহের কারণে ইউন সুক ইওলকে জুলাই থেকে হেফাজতে রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার ইউনিফিকেশন চার্চের নেতা হান হাক জা’র বিরুদ্ধে তার সংস্থাকে কিম কোয়েন হোকে ঘুষ দেওয়ার নির্দেশের অভিযোগ আনা হয়। প্রসিকিউটররা বলেছেন, ওই চার্চের পক্ষ থেকে কিমকে দুটি শ্যানেল ব্যাগ একটি গ্রাফ নেকলেস ও একটি কোরিয়ান জিনসেং উপহার দেয়, যার বাজার মূল্য ৮০ মিলিয়ন দক্ষিণ কোরিয়ান ওন। সূত্র: রয়টার্স, আল-জাজিরা
বিডি প্রতিদিন/একেএ