রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য থাকলে ও জনগণ নির্বাচনমুখী হলে কেউ নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে বিভাগের সব জেলা প্রশাসক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন শুধু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নির্ভর করে না। এটি নির্ভর করে জনগণের ওপর। জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হবে, তখন সেটি কেউ আটকাতে পারবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি মতৈক্য হয়, তবে সেটি ইতিবাচক হবে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন নিয়ে কিছু প্রস্তাব এসেছে। সেগুলো ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে আলোচনা করব। আশা করছি, একটি সমাধান আসবে।’ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতি ভালো। প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গেছে, সদস্যও বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে মাঠে প্রায় ৩০ হাজার সেনা রয়েছে। নির্বাচনের সময় সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার সবাই মাঠে থাকবে।’
মিয়ানমার সীমান্তের মাদক পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘মিয়ানমারের সীমান্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ আরাকান আর্মির হাতে। আরাকান আর্মি মাদক নির্ভরশীল, প্রচুর মাদক আসে। এর পরিবর্তে আমাদের দেশ থেকে চাল, শাক, ওষুধপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র যায়। আমরা আলোচনা করছি, যাতে এগুলো আর না যায় এবং মাদকও ঢুকতে না পারে। এ জন্য আমরা ফোর্স বৃদ্ধি করেছি। রোহিঙ্গা নিয়ে বাংলাদেশ কোনো হুমকির মুখে নেই। আমাদের লক্ষ্য যত দ্রুত সম্ভব তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো। যত তাড়াতাড়ি তাদের ফেরত পাঠানো যাবে, তত দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’ তিনি বলেন, ‘এবারের দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর হবে বলে আমরা আশা করছি।
আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের মিছিল নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আজ ঢাকায় মিছিল হয়েছে, দেশের বিভিন্ন জায়গায়ও হচ্ছে। গ্রেপ্তারও হচ্ছে, কিন্তু তারা জামিন পেয়ে যায়। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে সহজে জামিন না পায়। নির্বাচনের সময় মিছিলের সংখ্যা বাড়বে। তবে ছোটখাটো এসব (ছাত্রলীগের) মিছিল আর মিছিল হয়ে দাঁড়াবে না।’