যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি করে বলেছেন, ন্যাটোর আকাশসীমা লঙ্ঘন করলে রাশিয়ার যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার ক্ষমতা সদস্য দেশগুলোর আছে।
মঙ্গলবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পকে প্রশ্ন করা হলে তিনি একথা বলেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়, ন্যাটো সদস্যরা কি তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘনকারী রুশ বিমান গুলি করে নামাতে পারে? জবাবে ট্রাম্প বলেন, হ্যাঁ, অবশ্যই।
এর আগে, গত সপ্তাহে ন্যাটোর সদস্য দেশ এস্তোনিয়া অভিযোগ করে, রাশিয়ার তিনটি মিগ-৩১ যুদ্ধবিমান তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে। তবে মস্কো এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, রুশ বিমানগুলো নিয়মিত ফ্লাইটপথ থেকে বিচ্যুত হয়নি এবং ন্যাটোর অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।
ঘটনার পর এস্তোনিয়া ন্যাটো চুক্তির ৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জরুরি পরামর্শ বৈঠকের আহ্বান জানায়। ওই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো সদস্য দেশের নিরাপত্তা বা ভৌগোলিক অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়লে যৌথ আলোচনা ডাকা যায়। এ পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার ব্রাসেলসে ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে ন্যাটো মহাসচিব মার্ক রুটে বলেন, জোটের আকাশসীমা লঙ্ঘনকারী বিমান ভূপাতিত করা হবে কিনা, তা হুমকির মাত্রা বিবেচনা করে মুহূর্তের সিদ্ধান্তে নেওয়া হয়। এস্তোনিয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, ন্যাটো বাহিনী দ্রুত সংশ্লিষ্ট রুশ বিমানগুলোকে আটক করে নিরাপদে বের করে দিয়েছে, তবে তাৎক্ষণিক কোনো হুমকি না থাকায় বাড়তি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এর আগে চলতি মাসের শুরুতে ন্যাটোর আরেক সদস্য দেশ পোল্যান্ড অভিযোগ করে, রাশিয়া অন্তত ১৯টি ড্রোন তাদের আকাশসীমায় পাঠিয়েছে। যদিও মস্কো এই অভিযোগও ‘নিরর্থক ও ভিত্তিহীন’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
পোলিশ সংবাদমাধ্যম রেজেচপোসপোলিতা জানিয়েছে, ওই ঘটনায় একমাত্র ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল একটি মিসাইল থেকে, যা পোল্যান্ডের নিজস্ব এফ-১৬ যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া হয় এবং সেটি একটি আবাসিক ভবনে আঘাত হানে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা অভিযোগ করেন, পোল্যান্ডের এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ সাজানো উসকানি, যার উদ্দেশ্য ইউক্রেন যুদ্ধের রাজনৈতিক সমাধানকে ব্যাহত করা।
তথ্যসূত্র : সিএনএন।
বিডি-প্রতিদিন/শআ