শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ট্রাইব্যুনালে শোনানো হলো হাসিনার ফোনালাপ

হেলিকপ্টার থেকে ছত্রীসেনা নামাচ্ছি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট ভার্সন
হেলিকপ্টার থেকে ছত্রীসেনা নামাচ্ছি

জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থান দমনে ড্রোনের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের অবস্থান নির্ণয়, হেলিকপ্টার থেকে বোম্বিং করা, গুলিবর্ষণ, লেথাল উইপন (মারণাস্ত্র) ব্যবহার করতে শেখ হাসিনার দেওয়া এসব নির্দেশনার তথ্য উঠে এসেছে তারই ফোনালাপে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি এ কে এম মাকসুদ কামাল ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে শেখ হাসিনার কথোপকথনের চারটি অডিও ক্লিপে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। কথোপকথনে উঠে এসেছে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের রাজাকার ট্যাগ দিয়ে ফাঁসি দেওয়া, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা, আগুন লাগানোর নির্দেশসহ জঙ্গি ট্যাগ দিয়ে প্রপাগান্ডা ছড়ানোর কথাও। ইনুর সঙ্গে কথোপকথনের একপর্যায়ে শেখ হাসিনা তাকে জানান, ‘হেলিকপ্টার থেকে ছত্রীসেনা (প্যারাট্রুপার) নামাচ্ছি’।

গতকাল জবানবন্দি দেওয়ার সময় এই কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ট্রাইব্যুনালে শোনান এ মামলার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা।

শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রসিকিউশনের ৫৩তম সাক্ষী হিসেবে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ এ জবানবন্দি দেন তিনি। তার এই জবানবন্দি ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নিয়ে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বাংলাদেশ টেলিভিশন, বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন ও চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে। পরে তাকে জেরা করেন পলাতক দুই আসামির পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন।

এ সময় প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম, গাজী এম এইচ তামীম, বি এম সুলতান মাহমুদ, আবদুস সাত্তার পালোয়ান প্রমুখ। পরে এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী রবিবার দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশন জানান, ওই দিন মামলার শেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি গ্রহণ শুরু হবে।

জবানবন্দিতে বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা তানভীর হাসান জোহা বলেন, ‘তদন্তকালে আমি বিটিআরসি, এনটিএমসি, ডিএমপিসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তর থেকে বিভিন্ন অডিও ক্লিপ, ভিডিও ফুটেজ, সিডিআর, আইপিডিআর, সিসি ক্যামেরা ফুটেজসহ ডিজিটাল ফরেনসিক বিষয় বিধি মোতাবেক বিভিন্ন আলামত সংগ্রহের কাজ শুরু করি। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর ২৩ ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফোনালাপের ৬৯টি অডিও ক্লিপ এবং ৩টি মোবাইল নম্বরের সিডিআর এনটিএমসির (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার) সহকারী ইঞ্জিনিয়ার এবং প্রশিক্ষক সাদি মোহাম্মদ রিফাতের উপস্থাপন মতে বিধি মোতাবেক জব্দ করি।’

জব্দকৃত অডিও ক্লিপগুলো সিআইডির ফরেনসিক শাখা থেকে পরীক্ষার পর মতামত নেওয়ার কথা জানিয়ে জবানবন্দিতে তিনি বলেন, ‘ফোনালাপ সমূহ পর্যালোচনা করে দেখা যায় গত ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে শেখ হাসিনা লেথাল উইপন ব্যবহার করে সরাসরি গুলির নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ড্রোনের মাধ্যমে আন্দোলনকারীদের অবস্থান নির্ণয়পূর্বক হেলিকপ্টার থেকে বোম্বিং করা, ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করাসহ আন্দোলনকারীদের রাজাকার হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের ফাঁসি দেওয়ার কথা বলেছেন। তারা ফোনালাপে ইংল্যান্ডের উদাহরণ দিয়ে আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের দমন করতে বলেছেন।’ পরে ফোনালাপগুলো ট্রাইব্যুনালে বাজিয়ে শোনান এ বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা। জবানবন্দি শেষে প্রসিকিউটর মো. মিজানুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এসে এ বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, ফোনালাপে শেখ হাসিনা নিজেই আগুন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

একই সঙ্গে দায় আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর চাপাতে চেয়েছেন। মিজানুল ইসলাম বলেন, শেখ হাসিনা বলেছেন- ‘আমি বললাম একটা জিনিস পোড়াতে, (যা যা পোড়াতে..) ওরা পুড়িয়ে দিল সেতু ভবন।’ তার মানে আগুন দেওয়ার নির্দেশ উনি দিয়েছেন। কিন্তু উনার কাঙ্ক্ষিত জিনিস না পুড়িয়ে অন্য স্থাপনা পোড়ানো হয়েছে।

ওপেন নির্দেশনা দিয়ে দিসি, এখন লেথাল উইপন ব্যবহার করবে : আন্দোলনকারীরা সচিবালয় আক্রমণ করেছে, ফোনালাপে শেখ হাসিনাকে এমন তথ্য দিতে শোনা যায় শেখ ফজলে নূর তাপসকে। শেখ হাসিনা এই তথ্য জানেন না বললে তাপস বলেন- ‘হ্যাঁ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো ওইখানে আছে, সচিবালয়ে কয়েকবার ওরা আক্রমণ করছে, ওরা তো রাতে যদি আবার কোথাও কোথাও বিভিন্ন সংবেদনশীল বাসাবাড়িতে আক্রমণ করে তাহলে তো ইয়ে হবে।’ শেখ হাসিনা বলেন- ‘রাতের বেলা সব ভিজিলেন্স থাকবে এবং এই এতদিন তো, আচ্ছা ঠিক আছে আমি এখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি। একটু আস্তে আস্তে অনেক জায়গায় গেদারিং ক্লিয়ার হচ্ছে।

তাপস বলেন- ‘ওরা মনে হচ্ছে না ইয়ে করবে, রাতে মনে হয় ওদের আরও অনেক কিছু পরিকল্পনা আছে মনে হচ্ছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো আমাকে তাই বলল, আভাস দিল এবং আপনাকেও মনে হয় বলছে কিছু যে রাতে যদি সর্বোচ্চ না ইয়ে করে করবেন নাকি? শেখ হাসিনা জিজ্ঞেস করেন- ‘কী করব?’ তাপস বলেন- ‘মানে সেনাবাহিনী দিবেন?’ তখন শেখ হাসিনা বলেন- ‘বাবা, একটু চিন্তা করে কথা কইও। এটাই তাদের আকাঙ্ক্ষা।’ তাপসও তখন সায় দেন শেখ হাসিনার কথায়।

একপর্যায়ে শেখ হাসিনা বলেন- ‘দরকার নাই, ওটা দরকার নাই। আমি সেনাপ্রধানের সাথে কথা বলছি। ওরা রেডি থাকবে ঠিক আছে? এখন তো আমরা অন্য ইয়ে করতেছি। ড্রোন দিয়ে ছবি নিচ্ছি আর হেলিকপ্টারে ইয়ে হচ্ছে মানে কয়েক জায়গায়।’ তখন তাপস বলেন- ‘তাহলে কিছু ছবি দেখে পাকড়াও করা যায় না রাতের মধ্যে? শেখ হাসিনা বলেন- ‘সবগুলিকে অ্যারেস্ট করতে বলেছি রাত্রে।’ তাপস তখন পাকড়াওয়ের কথা বললে শেখ হাসিনা বলেন- ‘ না ওটা বলা হয়ে গেছে, ওটা নিয়ে র‌্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআই সবাইকে বলা হইছে, যে যেখান থেকে যে কয়টা পারবা ধইরা ফেলো।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে তাপস আন্দোলনকারীদের মোহাম্মদপুর থানার দিকে যাওয়ার কথা বললে শেখ হাসিনা র‌্যাব পাঠানোর কথা বলেন। তখন তাপস বলেন- ‘তাহলে আপনার নির্দেশনা লাগবে।’ এ সময় শেখ হাসিনা বলেন- ‘আমার নির্দেশনা দেওয়া আছে ওপেন নির্দেশনা দিয়ে দিসি। এখন লেথাল উইপন ব্যবহার করবে। যেখানে পাবে সোজা গুলি করবে। ওটা বলা আছে। আমি এতদিন বাধা দিয়ে রাখছিলাম। ওই যে স্টুডেন্টরা ছিল ওদের সেফটির কথা চিন্তা করে, তারপর তো... ’

একপর্যায়ে তাপসকে বলতে শোনা যায়- ‘না রাতে স্টুডেন্ট না, রাতে হলো ওরা সন্ত্রাসী।’ তখন শেখ হাসিনা বলেন- ‘ওই যে আমাদের রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুলের একটা বাচ্চা ছেলে, তার শিক্ষক তাকে ডাইকা নিয়ে আসছে, শিক্ষক নাকি আবার শিবির করত, ওরা জানে না। তারপর সেই ছেলেটা মারা গেছে। তার মাত্র বুকে একটা গুলি অথচ পুলিশ কিন্তু কোনো রিভলবার ব্যবহার করেনি। এরকম ঘটনা তারা ঘটাইছে।’

এই ফোনকল রেকর্ডেই শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়- ‘সব জায়গায় আগুন, বিআরটি, বিটিআরসি বন্ধ করে দিছে, পোড়াইয়া দিছে, বিটিভি পোড়াইয়া দিছে, এখন তো ইন্টারনেট বন্ধ সব পোড়াইয়া দিছে, এখন চলবে কীভাবে?’ এ সময় তাপস বলেন, ‘জি, এটা ভালো হইছে, জি’। শেখ হাসিনা বলেন, না.. পোড়াইয়া দিছে, মেশিনপত্র সব পুড়ে গেছে। আমি বলছি যা যা পোড়াতে... ও আমাদের সেতু ভবন পোড়াইছে। তাপস বলেন, ‘জি, ওরা রাতে মনে হয় আরও ব্যাপক আক্রমণ করবে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘হ্যাঁ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সেটা পোড়াইছে..।’

তাপস বলেন, ‘কারণ এই যে আমি ফিরলাম, আমি দেখলাম যে রাস্তায় রাস্তায় ওরা বিভিন্ন জায়গায় ইয়ে করতেছে’। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোন কোন জায়গায়?’ তাপস বলেন, ‘বনানীতে ও বনানী গুলশানে তো সচারচর করে না, কিন্তু বনানী গুলশানে ওরা ইয়েতে চলে আসছে...। কোথাও কোথাও ইয়ে করতে পারে মুভমেন্ট আছে সব জায়গায়।’ তাপসকে উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঠিক আছে আমি দেখছি। তোমরা সাবধানে থেকো।’ তাপস বলেন, ‘জি আমি সাবধানে আছি।’

একটাকেও ছাড়ব না : প্রসিকিউশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মাকসুদ কামালের ফোনালাপটি হয় গত বছর ১৪ জুলাই রাত সাড়ে ১১টার দিকে। মাকসুদ কামাল ওই দিন ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি তুলে ধরেন শেখ হাসিনার কাছে। আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছিলেন, প্রত্যেক হল থেকে ছেলেমেয়েরা তালা ভেঙে বের হয়ে গেছে। তার (উপাচার্যের) বাসভবনে হামলা হতে পারে। তখন শেখ হাসিনা তার বাসভবনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেন।

ফোনকল রেকর্ডে মাকসুদ কামালকে বলতে শোনা যায়, ‘ওই রকম একটা প্রস্তুতি... লাঠিসোঁটা নিয়ে বের হইছে।’ তখন শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘লাঠিসোঁটা নিয়ে বের হলে হবে না, আমি পুলিশ এবং বিডিআর বিজিবি আর...বলেছি খুব অ্যালার্ট থাকতে এবং তারা (আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা) রাজাকার হইতে চাইছে তো, তাদের সবাই রাজাকার। কী আশ্চর্য কোন দেশে বসবাস করি!’

মাকসুদ কামাল এ সময় বলেন, জি জি... বলতেছে আমরা সবাই রাজাকার। জবাবে শেখ হাসিনা বলেন- ‘তো রাজাকারের তো ফাঁসি দিসি, এবার তোদেরও তাই করব। একটাকেও ছাড়ব না, আমি বলে দিছি। এই এতদিন ধরে আমরা কিন্তু বলিনি, ধৈর্য ধরছি, তারা আবার বাড়ছে।’

মাকসুদ কামাল শেখ হাসিনার কথায় সমর্থন জানিয়ে বলেন- ‘বেশি বেড়ে গেছে এবং অতিরিক্ত বেড়ে গেছে, অতিরিক্ত..... তো আপা একটু ক্যাম্পাসের নিরাপত্তাটা আরেকটু বাড়ানো... আর আমার বাসার ওইখানেও...’। শেখ হাসিনা বলেন- ‘ক্যাম্পাসের ব্যবস্থা করছি, সমস্ত ক্যাম্পাসে বিজিবি, র‌্যাব এবং পুলিশ... সব রকম ব্যবস্থা হইছে। তোমার বাসার ভিতরে লোক রাখতে বলছি। ভিতরে কিছু রাখা আছে... এত বাড়াবাড়ি ভালো না।’

‘একাত্তর হলে ছাত্রলীগের ছেলেদেরকে মেরেছে’ মাকসুদ কামাল ফোনালাপে এমন তথ্য দিলে শেখ হাসিনা বলেন- ‘কোন দেশে বাস করি আমরা! এদেরকে বাড়তে বাড়তে তো... রাজাকারদের কী অবস্থা হয়েছে দেখিস নাই, সবগুলাকে ফাঁসি দিছি, এবার তোদেরও ছাড়ব না।’

তখন মাকসুদ কামালকে বলতে শোনা যায়- ‘হ্যাঁ, এবার এই ঝামেলাটা যাক, এরপরে আমিও নিজে ধরে ধরে যারা এই অস্থিরতা সৃষ্টি করছে, মেইন যারা আছে এদেরকে বহিষ্কার করব ইউনিভার্সিটি থেকে।’ শেখ হাসিনাও বলেন- ‘এইগুলাকে বাইর করে দিতে হবে... আমি বলে দিচ্ছি আজকে সহ্য করার পরে অ্যারেস্ট করবে, ধরে নেবে এবং যা অ্যাকশন নেয়ার নেবে... কারণ ইংল্যান্ডে এরকম ছাত্ররাজনীতির জন্য মাঠে নামল, কতগুলি মেরে ফেলায় দিলো না? ওই অ্যাকশন না নেয়া ছাড়া উপায় নাই। আমরা এত বেশি সহনশীলতা দেখাই... আজ এত দূর পর্যন্ত আসছে।’ এরপর তাদের মধ্যে আরও কথা হয়।

হেলিকপ্টার দিয়ে সোজা বোম্বিং করা হবে : শেখ হাসিনা ও হাসানুল হক ইনুর দুটি ফোনালাপ ট্রাইব্যুনালে শোনান বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা। দুটি ফোনালাপেই শেখ হাসিনার কোনো একটা পদক্ষেপে ইনুকে সমর্থন জানাতে শোনা যায়। সেই সঙ্গে কারফিউ যেন কঠোর হয়, শেখ হাসিনাকে সেই পরামর্শও দিতে শোনা যায় ইনুকে।

একটি ফোনালাপে ইনু-শেখ হাসিনাকে বলছেন- ‘শনির আখড়ায় কিছু মোল্লারাই...’ শেখ হাসিনা তখন বলছিলেন-‘খালি মোল্লা না ওইখানে অনেক মাদ্রাসা। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে... মাইকিং করতে হচ্ছে আরকি... নারায়ণগঞ্জে ঢুকতে দিচ্ছে না আর্মিকে, আমরা ছত্রীসেনা নামাচ্ছি।’

ইনু জি, আচ্ছা বলে সাড়া দিলে শেখ হাসিনা বলে যান- ‘না আমি বলছি ক্যাজুয়াল্টির দরকার নাই। ওরা ব্যারিকেড দিয়ে আছে তো, ঠিক আছে। আকাশ থেকে নামবে, তখন দুই পাশ দিয়ে ধরবে। মেসেজটা দিয়ে দিতে পারেন যে, ছত্রীসেনা পাঠানো হচ্ছে। আর হেলিকপ্টার দিয়ে সোজা বোম্বিং করা হবে। র‌্যাবের হেলিকপ্টার দিয়ে ওপর দিয়ে মারবে।’

হাসানুল হক ইনু বলেন- ‘আচ্ছা ওপর দিয়ে সাউন্ড বোম যাবে আরকি, ঠিক আছে। আমি একটা পয়েন্ট আপনাকে একটু নজরে আনার জন্য রিকোয়েস্ট করতেছি যে, কারফিউ ধরেন দুই-পাঁচ দিন যা চললো, চললো। কিন্তু কারফিউ এর পরে যাতে আর মিছিল না নামতে পারে সেই জন্য একটা হোমওয়ার্ক করতে, করা দরকার। যে রকম- উত্তরা, বাড্ডা, গুলশান, যাত্রাবাড়ীতে যারা মিছিল লিড করছে সেইগুলা চিহ্নিত করা আরকি।’

হাসানুল হক ইনুকে বলতে শোনা যায়- ‘যাতে মিছিলটা লিড না করতে পারে। তা আমি ঢাকা শহরের জন্য বলছি যে, আপনার গোয়েন্দারা নিশ্চয়ই তালিকা করতে পারবে যে উত্তরায় কারা।’ তখন শেখ হাসিনা বলেন- ‘খালি গোয়েন্দারটা না, লোকাল লিডারদেরও করা উচিত।’

ফোনালাপের একপর্যায়ে হাসানুল হক ইনু বলেন- ‘আরেকটা রিকোয়েস্ট আমার, ইন্টারনেট আমার মনে হয় চালু করতে পারেন। এটা আমাদেরই কাজে লাগবে।’ তখন শেখ হাসিনা বলেন- ‘ভাই কী যে চালু করবো, সবতো পোড়াই দিছে। ডাটা সেন্টারও পোড়ায় দিছে, মেশিন সব পোড়ায় দিছে, এখন ওই নতুন তারতুর কিনে জোড়া লাগাতে হবে।’

একাত্তর টেলিভিশনে রাত ৮টায় টকশোতে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে জাসদ সভাপতি বলেন- ‘আমি বলবো যে (টকশোতে) সরকারের সাথে কোটা আন্দোলনকারীর কোনো বিরোধ নাই। সরকারের সাথে বিরোধ হচ্ছে নাশকতাকারী বিএনপি-জামাতের।’ এই কথা শেখ হাসিনা নিজেও বলেছেন বললে, ইনু বলেন- ‘এই জিনিসটা প্রপাগান্ডায় আনতে হবে যদি ইন্টারনেট থাকে, গণমাধ্যম দিয়ে আমরা পুরা নিউজে ফ্লাড করে দিলাম...।’

তখন শেখ হাসিনা বলেন- ‘ইন্টারনেট পাবো কোথায়? ইন্টারনেট পোড়ায় দিছে। জীবনে... আমি তো আর আনবো না। যদি অন্য সরকার আসে তাহলে আনবে। আমি দিছি ইন্টারনেট, ওরা পোড়াইতে থাকুক, ওইটা চলতে হবে...।’ হাসানুল হক ইনু তখন বলেন- ‘অন্য সরকার, বাংলাদেশে ইনশাআল্লাহ অন্য সরকার আসবে না।’ শেখ হাসিনা বলেন- ‘আসুক না, আমি আর পারবো না।’

দ্বিতীয় ফোনালাপেও কারফিউ কঠোর করতে শেখ হাসিনাকে পরামর্শ দিতে শোনা যায় ইনুকে। কথোপকথনের একপর্যায়ে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়- ‘বেশ কিছু আন্তর্জাতিক ইয়ে পাইছি। তারা এইটাকে জঙ্গি হামলা হিসেবে কনসিডার মানে বলতেছে।’ ইনু তখন বলেন- ‘হ্যাঁ, জঙ্গি হামলাই হইছে। এই কার্ডটা খেলবো আমরা এখন।’ শেখ হাসিনা বলেন- ‘না কার্ড খেলা না, এটা আমি আগে করি নাই। আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে আমাকে মেসেজটা দিছে যে এটা জঙ্গি হামলা।’ শেখ হাসিনা বলে চলেন- ‘তারা আমাকে এইটাই বলছে যে, এইটা জঙ্গি হামলা। দিয়ে দিব পেপারে।’ এই কথার পৃষ্ঠে ইনু বলেন- ‘আচ্ছা এইটা একটা ব্যাপার, আরেকটা হচ্ছে যে দুইটা ভাগ। একটা হচ্ছে- ছাত্রদের কোটা আন্দোলনকারী, আরেকটা হচ্ছে উৎখাতকারী। উৎখাতকারীরা জঙ্গি সন্ত্রাসী হামলায় চলে গিয়েছে। কোটা সংস্কারকারীর ব্যাপারে সরকারে যে যে আছি, সমবেদনা আছে। উৎখাতকারীকে আমি রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো। কোনো ছাত্র যদি উৎখাতকারীর সঙ্গে জড়িত হয়, সেই দায়িত্ব আমি নিবো না।’

ইনুর এই কথায় শেখ হাসিনাকে সায় দিতে শোনা যায় ফোনালাপে। এই ফোনালাপে সিপিবি, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, আনু মুহাম্মদের নাম আসে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নে আন্দোলনকারীদের অবস্থান, অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করতে চাওয়া, সংবিধান পরিবর্তন করার কথাও উঠে আসে তাদের ফোনালাপে।

 

এই বিভাগের আরও খবর
নৃত্যশিল্পীকে মারধর করে মুখে কালি মাখাল দুর্বৃত্তরা
নৃত্যশিল্পীকে মারধর করে মুখে কালি মাখাল দুর্বৃত্তরা
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
তৃতীয় দিনেই টেস্ট জয়
তৃতীয় দিনেই টেস্ট জয়
নির্বাচন হতে হবে ফেব্রুয়ারিতেই
নির্বাচন হতে হবে ফেব্রুয়ারিতেই
জুলাই সনদ নিয়ে সংশয় কেটে গেছে
জুলাই সনদ নিয়ে সংশয় কেটে গেছে
সনদ বাস্তবায়ন না হলে নির্বাচন অবৈধ
সনদ বাস্তবায়ন না হলে নির্বাচন অবৈধ
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে
আগুন জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও রেললাইনে
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বশেষ খবর
‘‌বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের প্রতিষ্ঠিত করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে’
‘‌বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারীদের প্রতিষ্ঠিত করতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হবে’

এই মাত্র | রাজনীতি

জাতি একটি সুষ্ঠু সুন্দর অবাধ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে: দুলু
জাতি একটি সুষ্ঠু সুন্দর অবাধ নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে: দুলু

৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

লড়াই এখনো শেষ হয়নি : সেলিমা রহমান
লড়াই এখনো শেষ হয়নি : সেলিমা রহমান

৮ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

মিরপুরে বিআরটিএ এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ
মিরপুরে বিআরটিএ এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ

৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

‘আগামী নির্বাচনে নোয়াখালীর ৬টি আসন বিএনপিকে উপহার দেওয়া হবে’
‘আগামী নির্বাচনে নোয়াখালীর ৬টি আসন বিএনপিকে উপহার দেওয়া হবে’

৮ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

হাতিরঝিলে ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে আগুন
হাতিরঝিলে ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে আগুন

১৮ মিনিট আগে | নগর জীবন

৩১ দফা রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের সার্বজনীন নির্দেশনা: মনিরুল হক
৩১ দফা রাষ্ট্রের পুনর্গঠনের সার্বজনীন নির্দেশনা: মনিরুল হক

২০ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

সিলেটে বিপুল পরিমাণ মাদক ধ্বংস
সিলেটে বিপুল পরিমাণ মাদক ধ্বংস

২১ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

নারায়ণগঞ্জে প্রকাশ্যে গুলি, যুবক আহত
নারায়ণগঞ্জে প্রকাশ্যে গুলি, যুবক আহত

২৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

নোয়াখালী বিভাগ হলে দেশের চিত্র পাল্টে যাবে : বরকত উল্লাহ বুলু
নোয়াখালী বিভাগ হলে দেশের চিত্র পাল্টে যাবে : বরকত উল্লাহ বুলু

২৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

ফজলুর রহমান মেমোরিয়াল কলেজের দুই যুগ পূর্তিতে বর্ণাঢ্য আয়োজন
ফজলুর রহমান মেমোরিয়াল কলেজের দুই যুগ পূর্তিতে বর্ণাঢ্য আয়োজন

৩৪ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সোনারগাঁয়ে তাঁতী দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা
সোনারগাঁয়ে তাঁতী দলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা

৩৪ মিনিট আগে | নগর জীবন

‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ জাবিতে রাত ১০টার পর যেকোনো অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ
‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ জাবিতে রাত ১০টার পর যেকোনো অনুষ্ঠান নিষিদ্ধ

৩৮ মিনিট আগে | ক্যাম্পাস

‘ধানের শীষে ভোট দিয়ে দেশকে রক্ষা করুন’
‘ধানের শীষে ভোট দিয়ে দেশকে রক্ষা করুন’

৪০ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

মোংলায় জামায়াতে ইসলামীর ওলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত
মোংলায় জামায়াতে ইসলামীর ওলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

৪৮ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

সরাইলে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, আহত ২০
সরাইলে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, আহত ২০

৪৯ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

কাতারের মধ্যস্থতায় শান্তিচুক্তির পথে কঙ্গো ও এম২৩ বিদ্রোহীরা
কাতারের মধ্যস্থতায় শান্তিচুক্তির পথে কঙ্গো ও এম২৩ বিদ্রোহীরা

৫২ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

বিশ্বনাথে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পেলেন দুই সহস্রাধিক মানুষ
বিশ্বনাথে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পেলেন দুই সহস্রাধিক মানুষ

৫৩ মিনিট আগে | চায়ের দেশ

বারী সিদ্দিকীর জন্মদিনে কেক কাটলেন হিমু পাঠক আড্ডার সদস্যরা
বারী সিদ্দিকীর জন্মদিনে কেক কাটলেন হিমু পাঠক আড্ডার সদস্যরা

৫৫ মিনিট আগে | দেশগ্রাম

তফসিলের আগে লটারির মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনকে আবারও ঢেলে সাজাবে সরকার
তফসিলের আগে লটারির মাধ্যমে মাঠ প্রশাসনকে আবারও ঢেলে সাজাবে সরকার

৫৮ মিনিট আগে | জাতীয়

শার্শায় ধানের শীষের প্রার্থী তৃপ্তির উঠান বৈঠক
শার্শায় ধানের শীষের প্রার্থী তৃপ্তির উঠান বৈঠক

৫৮ মিনিট আগে | ভোটের হাওয়া

দিনাজপুরে জামায়াত প্রার্থীর মোটরসাইকেল র‌্যালি
দিনাজপুরে জামায়াত প্রার্থীর মোটরসাইকেল র‌্যালি

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

নতুন কুঁড়ির শিশুশিল্পীরা খ্যাতি অর্জন করবে: তথ্য উপদেষ্টা
নতুন কুঁড়ির শিশুশিল্পীরা খ্যাতি অর্জন করবে: তথ্য উপদেষ্টা

১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

দলের দুর্দিনে রোজি কবির ছিলেন ভরসা : খসরু
দলের দুর্দিনে রোজি কবির ছিলেন ভরসা : খসরু

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলো আজও পুনর্নির্মাণ হয়নি
সিডরে ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধগুলো আজও পুনর্নির্মাণ হয়নি

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ
যুক্তরাষ্ট্র থেকে গম নিয়ে মোংলা বন্দরে জাহাজ

১ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

বিশ্বনাথে মোক্তার আলী ফাউন্ডেশনের বৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন
বিশ্বনাথে মোক্তার আলী ফাউন্ডেশনের বৃত্তি পরীক্ষা সম্পন্ন

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে
আগামী নির্বাচন বানচাল হলে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত ১
বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত ১

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে মান্নানের গণসংযোগ
সিদ্ধিরগঞ্জে ধানের শীষের পক্ষে মান্নানের গণসংযোগ

১ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

সর্বাধিক পঠিত
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ
‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে আশরাফুলকে ২৬ টুকরো করে বন্ধু জরেজ

৮ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার
স্ত্রীর মামলায় হিরো আলম গ্রেফতার

৫ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস
ট্রাম্পের অতীত সম্পর্কের নতুন তথ্য ফাঁস

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে জনতার ঢল

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার
অনলাইনে প্রেম, ভারতে ‘ভালো চাকরির’ প্রলোভন; অতঃপর কলেজছাত্রীকে পাচার

৬ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার
গোপনে অ্যাপে সংগঠিত হচ্ছে দুর্বৃত্তরা, ৫০ থানায় নিরাপত্তা জোরদার

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব
বিচারকের ছেলে হত্যার ঘটনায় বক্তব্য প্রকাশ, আরএমপি কমিশনারকে তলব

৬ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা
তেল ট্যাংকার জব্দ করল ইরান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার শঙ্কা

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’
‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘আল্লাহর উপর আস্থা ও বিশ্বাস’ সংবিধানে পুনর্বহাল করা হবে’

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন
প্রত্যাহার করা ২০ ডিসিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ
ছাত্র উপদেষ্টারা জুলাইকে বিক্রি করে দিয়েছে : মুনতাসির মাহমুদ

৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ
ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের নৈশভোজে বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণ

২১ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?
বিহারে সবচেয়ে কম বয়সি বিধায়ক কে এই মৈথিলী ঠাকুর?

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়
পৃথিবীর ‘হাই রিস্ক জোন’ উঠে এলো নতুন গবেষণায়

২৩ ঘণ্টা আগে | বিজ্ঞান

স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী
স্ত্রীর গলাকাটা মরদেহের পাশেই পড়ে ছিলেন আহত স্বামী

৯ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ
আজ থেকে সীমিত পরিসরে নতুন ইউনিফর্মে পুলিশ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল
বিএনপি নেতা ইকবালকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে একযোগে ১৮ স্থানে মশাল মিছিল

৯ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা
মেসিময় ম্যাচে অ্যাঙ্গোলাকে হারাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

১৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর
গণভোটে ‘না’ বলার সুযোগ কোথায়, প্রশ্ন রিজভীর

৬ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড
টি-টোয়েন্টিতে বৈভবের বিশ্বরেকর্ড

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী
লকডাউন আর বেহেশতের টিকিট বিলিকারীদের মধ্যে সম্পর্ক আছে : এ্যানী

৪ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত
ঢাকা–নারায়ণগঞ্জ রুট : মাসে ৬০০ টাকায় যতবার খুশি ঢাকায় যাতায়াত

১০ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা
২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করল যারা

৪ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯
জম্মু–কাশ্মিরে থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯

১১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান
চীনে হাজার টনের নতুন স্বর্ণখনি সন্ধান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম
সাঈদ আনোয়ারের রেকর্ডে ভাগ বসালেন বাবর আজম

১০ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ
খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলনে সালাহউদ্দিন আহমদ

৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই
আল্লাহ ছাড়া কারও সৃষ্টির ক্ষমতা নেই

১৯ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল
একটি দল বিএনপিতে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মির্জা ফখরুল

৭ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার
এবারের নির্বাচন ১৪, ১৮ ও ২৪’র মতো হলে জাতির ভাগ্যে দুর্ভোগ আছে: গোলাম পরওয়ার

৮ ঘণ্টা আগে | ভোটের হাওয়া

প্রিন্ট সর্বাধিক
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি
গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো উমরের বাড়ি

প্রথম পৃষ্ঠা

স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক
স্বজন হয়ে উঠছেন ঘাতক

পেছনের পৃষ্ঠা

এখন শুধুই নির্বাচন
এখন শুধুই নির্বাচন

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার
সিদ্ধান্ত নেবে পরবর্তী সরকার

পেছনের পৃষ্ঠা

তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব
তারেক রহমানের হাত ধরে কাজ করে যাব

প্রথম পৃষ্ঠা

চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার
চাকরির আড়ালে রাশিয়ায় মানব পাচার

পেছনের পৃষ্ঠা

ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা
ছুটির দিনে সৈকতে প্রাণের মেলা

পেছনের পৃষ্ঠা

আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...
আজও দর্শকমন ছুঁয়ে আছে যে দুই জুটি...

শোবিজ

রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ
রহস্যঘেরা সেই মায়াবী মুখ

শোবিজ

আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশ নিতে পারবে না

প্রথম পৃষ্ঠা

দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা
দুষ্টু মেয়ের মিষ্টি কথা

শোবিজ

বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার
বিএনপি কার্যালয়ের পেছন থেকে বোমাসদৃশ বস্তু উদ্ধার

দেশগ্রাম

শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ
শরীফের ক্যামেরায় সাগরতলের অজানা জগৎ

শনিবারের সকাল

ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের যৌন হয়রানি, ঢাবি শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রথম পৃষ্ঠা

সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে
সংকটে ইলিশের দাম বেড়েছে

পেছনের পৃষ্ঠা

সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সর্বোচ্চ সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রথম পৃষ্ঠা

স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট
স্পিন নয়, চাই স্পোর্টিং উইকেট

মাঠে ময়দানে

কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে
কী হবে হ্যাঁ-না ভোটে

প্রথম পৃষ্ঠা

১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক
১০০ টেস্টের অপেক্ষায় মুশফিক

মাঠে ময়দানে

হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন
হামজাকে ঘিরেই স্বপ্ন

মাঠে ময়দানে

এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স
এমবাপ্পের ৪০০ বিশ্বকাপে ফ্রান্স

মাঠে ময়দানে

এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত
এশিয়ান আর্চারিতে কোরিয়াকে ছাড়িয়ে ভারত

মাঠে ময়দানে

ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা
ভারত সফরে যাচ্ছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

প্রথম পৃষ্ঠা

একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে
একটি রাজনৈতিক দল ধর্মের নামে ব্যবসা করে

প্রথম পৃষ্ঠা

বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে
বসুন্ধরা স্ট্রাইকার্স ফাইনালে

মাঠে ময়দানে

ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের লক্ষ্যেই মাঠে আছি

প্রথম পৃষ্ঠা

বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার
বাল্যবন্ধু জরেজ ও তার প্রেমিকা গ্রেপ্তার

পেছনের পৃষ্ঠা

আমাদের সবাইকে ভালো মানুষ হতে হবে
আমাদের সবাইকে ভালো মানুষ হতে হবে

প্রথম পৃষ্ঠা

ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা
ভালো নেই রাজধানীর গৃহশিক্ষকরা

পেছনের পৃষ্ঠা