আমার এক ছোট ভাই বলল, এখন থেকে মোজায় বৈচিত্র্য আনতে হবে। মানে হরেক কালারের মোজা কিনতে হবে। যাতে মানুষ একই কালারের মোজা দেখে বিরক্ত না হয়। আমি ছোট ভাইয়ের কথার আগামাথা বুঝতে না পেরে তাকে বললাম বুঝিয়ে বলার জন্য। সে বলল, ব্যাপারটা খুব সহজ ভাই। অন্যান্য কেনাকাটা বাদ দিয়ে শুধু মোজা কিনতে হবে। তবে পা মোজা না কিন্তু হাতমোজা। আমার এবার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। বললাম, ফাজলামো করিস? অ্যাই, গরমকালে কেউ হাতমোজা পরে? ছোট ভাই বলে, আগে না পরলেও এখন থেকে পরতে হবে। কারণ, প্রত্যেকটা কাজেরই একটা সৌন্দর্য আছে। আমি বললাম, হাতমোজা পরার মধ্যে আবার সৌন্দর্যের কী আছে? আর আমি তো এটাই বুঝতে পারছি না গরমকালে হাতমোজা কেন পরতে হবে। ছোট ভাই বলল, আরে বাবারে, আপনি তো দেখছি এখনো গরম আর শীত নিয়েই পড়ে আছেন। কেন বুঝতে পারছেন না, আমি মানুষের কাছে হাত পাতার বিষয়টার দিকে ইঙ্গিত করছি। মানে ধার করার বিষয়টা আর কী। মনে করেন আপনি বিভিন্নজনের কাছে হাত পাতলেন, এমতাবস্থায় হাতে যদি একেক সময় একেক কালারের মোজা থাকে, তাহলে একটা বৈচিত্র্য আসে না? যার কাছে হাত পাতলেন, সেও এক হাত দেখতে দেখতে বিরক্ত হলো না। সহজে ধারটা দিয়ে দিল। আমি বললাম, যার হরেক কালারের হাতমোজা কেনার সামর্থ্য আছে, সে ধার করবে কেন? মানে জনে জনে হাত পাতবে কেন? ছোট ভাই বলল, আপনি কিন্তু একটু ব্যাকডেটেড আছেন। আরে বাপুরে হাতমোজার জোড়ার দাম কত? আর একবার হাত পেতে যদি দশ/বিশ হাজার পাওয়া যায়... আমি ছোট ভাইকে থামিয়ে দিয়ে বললাম, হাতপাতার অভ্যাস ছাড়তে হবে। মোটেই ধার করা যাবে না মানুষের কাছ থেকে। ছোট ভাই এবার ৩২ দাঁত দেখানো হাসি দিয়ে বলল, এটা একটা ভালো কথা বলেছেন ভাই। মানুষের কাছ থেকে মোটেই ধার করা যাবে না। তবে ভাই-বেরাদরের কাছ থেকে ধার করা যেতেই পারে। দেন ভাই, ৫ হাজার টাকা দেন। হাতটা খালি। আমি রেগে গিয়ে ধমক দিলাম। ছোট ভাই বলল, ধমক চাইনি ভাই। ধার চেয়েছি। আমি বললাম, কেন বুঝতে পারছিস না ধারের অভ্যাসটাই খারাপ। আর খারাপ অভ্যাস যত দ্রুত পরিত্যাগ করা যায়, ততই ভালো। ছোট ভাই বলল, জনৈক কবি বলেছেন, অভাবে স্বভাব নষ্ট। ধার করাটা আসলেই কষ্ট। তবু করতে হয়। কারণে-অকারণে পকেট ফাঁকা হয়ে গেলে কী করার আছে? আমি বললাম, খুব প্রয়োজন হলে ধার তো করতেই হবে। কিন্তু এই যে হাতমোজা পরে প্রফেশনালি ধার করার ধান্ধা, এটা একদমই ঠিক না। অতএব, যেটা করতে হবে, সব সময় হিসাব করে চলতে হবে। জীবনে মিতব্যয়ী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। মিতব্যয়ী মানে বুঝিস তো? মিতব্যয়ী মানে হচ্ছে আয় বুঝে ব্যয় করা। ছোট ভাই বলল, আর যদি কোনো আয়ই না থাকে? আমি বললাম, আয় থাকবে না কেন? তুই চাকরি করিস না? বেতন পাস না? ছোট ভাই বলল, বেতন তো অফিস থেকে দেয়। আর আমি দিই বউয়ের হাতে। দিই বলতে দিতে বাধ্য হই। তার মানে বুঝতেই পারছেন আমার আয়ের কী অবস্থা। আমি বললাম, ঠিক আছে, আমি তোর বউয়ের সঙ্গে কথা বলব। বলব যাতে আয় বুঝে ব্যয় করে। যাতে তোকে কারও কাছে হাত পাততে না হয়। ছোট ভাই বলল, ভুলেও এই কাজ করতে যাবেন না ভাই। এমনিতে ধারের চাপে আছি। আর হাত পাতব না। এখন থেকে লেনদেনটা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে করব। ওকে?
শিরোনাম
- রুপার্ট মারডক ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের মামলা
- গোপালগঞ্জের মরদেহগুলো প্রয়োজনে কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- বিক্ষোভে উত্তাল ইবি ক্যাম্পাস
- সিদ্ধিরগঞ্জে চুরির টাকা ভাগাভাগি দ্বন্দ্বে যুবক খুনের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার ৩
- গোপালগঞ্জে কারফিউ ১৪ ঘণ্টা শিথিল
- শিরাজনিত শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন ট্রাম্প
- হদিস নেই ৭০০ কারাবন্দির
- মেক্সিকো সীমান্তে নতুন দেয়ালের অনুমোদন, তোপের মুখে ট্রাম্প
- ভারতীয় এয়ারলাইনসের ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ালো পাকিস্তান
- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াত নেতাকর্মীদের ঢল
- এনসিপির নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নীলা ইসরাফিল
- কেন ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে?
- ‘ডেথ সেলে’ অমানবিক জীবন কাটাচ্ছেন ইমরান খান, দাবি পিটিআইয়ের
- ফিলিস্তিনিদের ভেড়াগুলোকেও হত্যা করছে ইসরায়েলিরা
- হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
- একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১৯ জুলাই)
- বৈষম্য সংস্কৃতির শত্রু দারিদ্র্যও
- নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেল না জিম্বাবুয়ে
- সেন্টমার্টিনে এক লাখ ৪০ ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১৭
- এনসিপির ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ খতিয়ে দেখা দরকার : এ্যানি
ধারে আছি, ধারে বাঁচি
ইকবাল খন্দকার
প্রিন্ট ভার্সন
