রবিবার, ১৪ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

আবাহনী চ্যাম্পিয়ন

ক্রীড়া প্রতিবেদক

আবাহনী চ্যাম্পিয়ন

ঢাকা আবাহনীর শোকেসে ক্রিকেটের আরেকটি ট্রফি জমা হলো। ঘরোয়া ক্রিকেটে সবচেয়ে মর্যাদাকর আসর ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে এক মৌসুমের পরই তারা শিরোপা ফিরে পেল। সব মিলিয়ে আবাহনীর এটি ২২তম লিগ জয়। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত উপভোগ্য ম্যাচে তারা ৪ উইকেটে শেখ জামাল ধানমন্ডিকে পরাজিত করে। ১৫ ম্যাচে দুই দলেরই পয়েন্ট ছিল ২৬। যারা জিতবে তারাই চ্যাম্পিয়ন। ম্যাচটি অঘোষিত ফাইনালে রূপ নিয়েছিল। শেখ জামালের টানা দুবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ থাকলেও তারা আর পারেনি। শেষ ওভার পর্যন্ত লড়াই করেও রানার্সআপে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। এ শিরোপায় আবাহনীর ধারেকাছেও কোনো দল নেই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা মোহামেডান।

ফুটবলে টানা চতুর্থবার শিরোপাবঞ্চিত হতে চলেছে আবাহনী। সে ক্ষেত্রে ক্রিকেটে এ বিজয়ে আবাহনীর ঘর এখন উৎসবে মাতোয়ারা। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। বিশেষ করে দুই দল চমৎকার ব্যাটিং প্রদর্শন করেছে। শেখ জামাল প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৮২ রান তুলেছিল। টেনশনপূর্ণ ম্যাচে একে বিগ স্কোরই বলা যায়। ২৮৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৪ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখেই আবাহনী জিতে যায়। তানজিম হাসান বাউন্ডারি মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন। আবাহনীর ২২তম শিরোপায় বড় ভূমিকা রেখেছেন এনামুল হক, নাঈম শেখ ও আফিফ হোসেন। তিনজনই হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। মূলত জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছেন দুই ওপেনার এনামুল ও নাঈম। এ জুটি ২৬.২ ওভারে আবাহনীকে ১৪৫ রান এনে দেয়। ৭৯ বলে ৩ ছক্কায় নাঈম ৬৮ রানে বিদায় নেওয়ার পর ৮ বল পর এনামুলও সাজঘরের পথ ধরেন। ৮১ বলে ৪ ছক্কায় ৭২ রান করেন এনামুল।

এ দুজন আউটের পর মাহমুদ হাসানও দ্রুত সাজঘরে ফেরত গেলে ম্যাচ জমে ওঠে।

 এরপর আফিফের ৫৩ বলে ৬০ রানই আবাহনীকে জিতিয়ে দেয়। ৬ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে আবাহনী। তাইবুর ৩৭ ও পারভেজ রসুল ৫১ রানে ২ উইকেট পান।

এর আগে শেখ জামালের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ৭০ বলে ৮ চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকান তিনি। তাইবুর রহমান ৮৫ বলে ৫৩ রান করেন। তানভীর হোসেন ৬৮ ও তানজিম হাসান ৭৮ রানে ২ উইকেট পান।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর