ফিফা নারী বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। তারা মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ডের। আরেক সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে স্পেন ও সুইডেন। এই চার দলের মধ্যে কোনো দলই এর আগে বিশ্বকাপ জয় করেনি। এর অর্থই হলো, নতুন চ্যাম্পিয়নের দেখা মিলছে নারী বিশ্বকাপে। কে হবে নতুন চ্যাম্পিয়ন? স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া? নাকি অন্য কোনো দল?
কাল নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে স্পেন-সুইডেন। বুধবার সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে। এই চার দলের মধ্যে বিশ্বকাপে ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা আছে কেবল সুইডেনের। ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে কানাডাকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে আসে সুইডেন। তবে ফাইনালে জার্মানির কাছে ২-১ গোলে হেরে শিরোপাবঞ্চিত হয় সুইডিশ মেয়েরা। এ ছাড়া আরও তিনবার বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলেছে সুইডেন। সেমিফাইনালের অন্য তিন দলের মধ্যে কোনো দলই ফাইনাল খেলেনি। তবে সেমিফাইনাল খেলেছে ইংল্যান্ড। ইংলিশ মেয়েদের এটা তৃতীয় সেমিফাইনাল। এর আগে ২০১৫ সালে জাপানের কাছে হেরে ফাইনাল খেলতে পারেনি ইংলিশরা। ২০১৯ সালে সেমিফাইনালে হেরে যায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। অস্ট্রেলিয়া ও স্পেন দুই দলের কেউই সেমিফাইনালও খেলেনি এর আগে। অস্ট্রেলিয়া তিনবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে এর আগে। প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা। স্পেনের মেয়েরা বিশ্বকাপই খেলেছে এর আগে দুবার। ২০১৫ সালে গ্রুপ পর্ব খেলে বিদায় নিয়েছে। ২০১৯ সালে শেষ ষোলোতে খেলেছে।
নারী বিশ্বকাপে ইতিহাসের গতিপথ বদলে যাচ্ছে। এবার সাবেক চ্যাম্পিয়ন জার্মানি গ্রুপ পর্ব খেলেই বিদায় নিয়েছে। সাবেক চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্র ও নরওয়ে শেষ ষোলো থেকে এবং জাপান কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে বিদায় নিয়েছে। সাবেক দুই চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানকে বিদায় করেছে সুইডেন। এবারের বিশ্বকাপে তারা অন্যতম ফেবারিটও। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ দশের ভিতরেই আছে চারটি দল। সুইডেন তিন নম্বরে অবস্থান করছে। এ ছাড়া ইংল্যান্ড চার নম্বরে, স্পেন ছয় নম্বরে এবং অস্ট্রেলিয়া ১০ নম্বরে অবস্থান করছে। কে হবে নতুন চ্যাম্পিয়ন? ফিফা নারী বিশ্বকাপে সর্বশেষ নতুন চ্যাম্পিয়ন ছিল জাপান। ২০১১ সালে তারা ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়।