সরকার পরিবর্তনের পর প্রতিদিনই মিরপুর স্টেডিয়ামে হাজির হচ্ছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাসির হোসেন। চেষ্টা করছেন ফের ক্রিকেটে ফিরতে। সহায়তা চাইছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। মিরপুরে এসে গভীর মনোযোগে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অনুশীলন দেখছেন। হয়তো আফসোসও করছেন সামান্য ভুলে নিষিদ্ধ হয়ে। ভবিষ্যতে আর ভুল করতে চান না। সে জন্যই নাসির নিয়মিত উপস্থিত হচ্ছেন জাতীয় দলে। তার সঙ্গে মিরপুর স্টেডিয়ামের ভিআইপিতে দেখা। সেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলেন। ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের ভালো করার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ভারতের মাটিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ভালো করবে। কারণ বাংলাদেশের ওপর কোনো চাপ থাকবে না। ভারত ফেভারিট দল। তাদের অনেক ভালো ভালো ক্রিকেটার রয়েছেন। পাকিস্তানের মাটিতে দারুণ ক্রিকেট খেলেছে নাজমুলরা। সে জন্য বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিতে সাহস পাবে না। এটি বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।’ সফরে ২টি টেস্ট ও ৩টি টি-২০ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্ট ১৯-২৩ সেপ্টেম্বর এবং দ্বিতীয় টেস্ট কানপুরে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর। প্রথম টি-২০ গোয়ালিয়রে ৬ অক্টোবর, দ্বিতীয় টি-২০ দিল্লিতে ৯ অক্টোবর এবং তৃতীয় ও শেষ টি-২০ ম্যাচ হায়দরাবাদে ১২ অক্টোবর।
এক সময় জাতীয় দলের অপরিহার্য ক্রিকেটার ছিলেন নাসির। ৩৩ বছর বয়সি নাসির জাতীয় দলে ফিরবেন কি না, সময় বলবে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেট ফিরতে চান তিনি। টাইগারদের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৯ টেস্টে ১ সেঞ্চুরি ও ৬ হাফ সেঞ্চুরিতে ১০৪৪ রান, ৬৫ ওয়ানডেতে ১ সেঞ্চুরি ও ৬ হাফ সেঞ্চুরিতে ১২৮১ রান এবং ৩১ টি-২০ ম্যাচে রান করেছেন ৩৭০। ফিরতে চান বিপিএলসহ ঘরোয়া ক্রিকেটে। পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন নাসির। বলেন, ‘বাংলাদেশের বোলাররা দারুণ বোলিং করেছেন। তবে জাতীয় দলের পারফরম্যান্স আরও ভালো হবে, যদি দলের জন্য সবাই খেলেন।’
ক্রিকেটে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করায় আইসিসি দুই বছর নিষিদ্ধ করে নাসিরকে। এর মধ্যে ছয় মাস স্থগিত নিষেধাজ্ঞা রাখা হয়েছে। নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার কথা ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল। এ সময়ে তাকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হবে। তিনি মূলত নিষিদ্ধ হন ২০২১ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে টি-১০ ক্রিকেট লিগের সময়। তখনই তার ওপর শ্যেন দৃষ্টি দেয় আইসিসি। সেখানে খেলার সময় আইসিসির সন্দেহের তির পড়ে নাসিরের ওপর। এরপর নাসির আইফোন নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন আইসিসির কাছে।