দেশের আটটি অঞ্চলে স্পোর্টস হাব তৈরির পরিকল্পনা করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সরকারের সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই এ পরিকল্পনা অনেকটা এগিয়ে নিয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এরই মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন তিনি। আলোচনা অনেকটা এগিয়েও নিয়েছেন। তৈরি করা হয়েছে স্পোর্টস হাবের ডিজাইনও। স্পোর্টস হাবে প্রায় সব খেলার সুবিধাই থাকছে। ডিজাইন অনুযায়ী এখানে হকি স্টেডিয়াম থাকবে। পাশাপাশি থাকবে হকির জন্য অনুশীলন মাঠও। মেইন অলিম্পিক স্টেডিয়ামে থাকবে ফুটবল মাঠ, স্ট্যান্ডার্ড ট্র্যাক, লং ও ট্রিপল জাম্প, ওয়াটার জাম্প, জ্যাভলিন থ্রো, ডিসকাস ও হ্যামার থ্রো, পোল ভল্ট, হাই জাম্প এবং প্র্যাকটিস ট্র্যাক ফ্যাসিলিটি। ইনডোর ও আউটডোর নেট প্র্যাকটিসের সুবিধাও থাকছে। এ ছাড়া বিরাট অংশজুড়ে থাকবে আবাসিক এলাকা। সুইমিংপুলে থাকবে সাঁতার, ডাইভিংসহ নানা সুবিধা। ইনডোর ও আউটডোর শুটিংয়ের ব্যবস্থাও থাকছে এ স্পোর্টস হাবে। এ ছাড়া লন বৌলস এবং লন টেনিস খেলা যাবে। আকর্ষণীয় মাল্টি স্টোরিড ইনডোর কমপ্লেক্সে থাকছে নানা খেলার আয়োজন। এখানে ব্যাডমিন্ট, উশু, জিমনেশিয়াম, টেবিল টেনিস, ভলিবল, হ্যান্ডবল, ফুটসাল, জুডো-কারাতে, তায়কোয়ান্দো, বক্সিং, স্কোয়াশ এবং রেসলিং খেলার ব্যবস্থা থাকছে। এ স্পোর্টস হাবে থাকছে বাস্কেটবল কোর্টও। এ ছাড়া অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ বিল্ডিং আর বিশাল পার্কিং এরিয়া তো থাকছেই।
পঞ্চাশ একর জায়গাজুড়ে এ বিশাল স্পোর্টস হাব গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। একেকটি স্পোর্টস হাব গড়ে তুলতে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় ধরা হয়েছে অলিম্পিক স্টেডিয়াম এবং মাল্টি স্টোরিড স্পোর্টস কমপ্লেক্স। এ দুটিতেই খরচ হবে ৪০০ কোটি করে মোট ৮০০ কোটি টাকা। এ স্পোর্টস হাব প্রতিষ্ঠা করে দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে অনেক দূর এগিয়ে নিতেই উদ্যোগী হয়েছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা। তরুণ সমাজকে সুস্থ ও সুশৃঙ্খল হিসেবে গড়ে তুলতে এ স্পোর্টস হাব বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন ক্রীড়া সংশ্লিষ্টরা।