অবশেষে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলর (আইসিসি)'র চূড়ান্ত অনুমোদন পেল সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়াম। দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে সুন্দর এই ভেন্যুতে বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে এতদিন নানা জল্পনা-কল্পনা চলছিল। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার আইসিসি'র ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো স্টেডিয়ামটি পরিদর্শন করে আন্তর্জাতিক ভেন্যুর অনুমোদন দিয়ে যান। এর আগেও স্টেডিয়ামের উন্নয়ন কাজ চলাকালে আইসিসি'র প্রতিনিধি দল দফায় দফায় ভেন্যুটি পরিদর্শন করে যান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভেন্যুর সম্ভাবনা ও সর্বশেষ প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়াম পরিদর্শনে আসেন ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রো। ছোট ছোট টিলা আর চা বাগান ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে গড়ে উঠা স্টেডিয়ামটি দেখে শুধু মুগ্ধ হননি বা আন্তর্জাতিক সনদ দিয়ে যাননি জেফ ক্রো। স্টেডিয়ামটিকে দক্ষিণ এশিয়ার সেরা ক্রিকেট স্টেডিয়াম বলেও আখ্যা দিয়ে গেছেন। জেফ ক্রো বলেন 'সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়াম ওয়ান অব দ্য বেস্ট স্টেডিয়াম ইন সাউথ এশিয়া।' মাঠ তো বটেই মাঠের আশপাশের সবুজ চা-বাগান মন কাড়লো আইসিসির এই শীর্ষ কর্মকর্তার। ঘুরে দেখলেন স্টেডিয়ামের চারপাশও। জানালেন সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়াম নিয়ে তার সন্তুষ্টির কথা। যাওয়ার আগে বাংলাদেশের অষ্টম আন্তর্জাতিক ভেন্যু হিসেবে সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে স্বীকৃতি দিয়ে যান ক্রো। প্রসঙ্গত, সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নতি করতে ৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে গত জুন মাসে একটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এ প্রকল্পের আওতায় গ্যালারি, গ্রিন গ্যালারি, মিডিয়াবঙ্, ইলেকট্রনিক্স স্কোর বোর্ড, সাইটস্ক্রিন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ফ্লাড লাইট, গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড, গ্রিন গ্যালারি ও ইনডোরসহ বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করা হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি সিলেটবাসীর স্বপ্নের এ স্টেডিয়ামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সিলেটের এই মাঠটিতেই চলতি মাসে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে জমজমাট আসর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পুরুষ ও মহিলা ইভেন্টের ২৮টি ম্যাচ।