অভিভূত ধোনি
সেমিফাইনাল পর্যন্ত ছিল অপরাজিত। অনেকে তাই নিশ্চিত ছিলেন সাত বছর পর ভারত টি-২০ বিশ্বকাপে হারানো শিরোপা উদ্ধার করতে পারবে। না, ক্রিকেটের অভিধানে নিশ্চিত বলে কোনো শব্দ নেই তা আবার প্রমাণ হলো ফাইনালে। অপরাজিত থাকা ধোনি বাহিনীকে দাঁড়াতেই দেয়নি শ্রীলঙ্কা। প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতে লঙ্কান ক্রিকেটাররা আবেগে কেঁদেও ফেলেন। অন্যদিকে ধোনি, কোহিলিদের চোখে হতাশার ছাপ খুঁজে পাওয়া গেলেও ম্যাচ শেষে ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি বাংলাদেশের দর্শকদের ভূয়শী প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, প্রতিটি ম্যাচে ঢাকাতে যে সমর্থন পেয়েছি তাতে আমরা অভিভূত। আমি নিশ্চিত ভারতের মতো বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটপ্রেমীই চেয়েছিলেন আমাদের সাফল্য। কিন্তু তা পূরণ না করাতে আমি দুঃখিত। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কতটা যে ভালোবাসে তা আবার প্রমাণ পেলাম টি-২০ বিশ্বকাপে।
স্মরণীয় ঢাকা
ঢাকার নাম লঙ্কান ক্রিকেটারদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে এ কথার বললেন, টি-২০ বিশ্বকাপে ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে নেতৃত্ব দেওয়া ল্যাথিস মালিঙ্গা বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট, ওয়ানডে, টি-২০ এশিয়া কাপ সর্বশেষ টি-২০ বিশ্বকাপের ট্রফি এক সঙ্গে ঘরে নিয়ে গেল। মালিঙ্গা আবেগভরা কণ্ঠে বললেন, ১৯৯৬ সালে আমরা ওয়ানডে বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। সুতরাং শিরোপা পাওয়ার আনন্দ আমরা পুরোপুরি অনুভব করেছি। তারপরও চারটি বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেও আমরা দেশবাসীকে ট্রফি উপহার দিতে পারেনি। এজন্য আমাদের মাঝেও হতাশা নেমে আসে। অবশেষে ঢাকাতে টি-২০ বিশ্বকাপ জিতে কপালে আমাদের খুলেছে। এজন্য ঢাকা ও মিরপুর স্টেডিয়ামের নামটি আমার কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ আমার নেতৃত্বেই ১৮ বছর পর শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট আরেকটি বিশ্ব জয়ের কৃতিত্ব দেখান।