মেলবোর্নে গ্রুপ পর্বের খেলায় শ্রীলঙ্কার কাছে বেধড়ক মার খেয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। কুমার সাঙ্গাকারা, তিলকরত্নে দিলশানদের আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলেন। ভেঙেও পড়েছিলেন মানসিকভাবে। সে সময় পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। উৎসাহ দেন, সাহস জোগান দলের তরুণ পেসারকে। অধিনায়কের সেই সাহসে পরের চার ম্যাচে ছিলেন দুর্দান্ত। উইকেট নেন ৬ টি। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপের ৬ ম্যাচে উইকেট নেন ৯টি। মোহাম্মদ সামী, মিচেল স্টার্ক, ইয়ান বুল্টদের মতো আলোচনায় ছিলেন না ঠিকই। কিন্তু গতি ও বাউন্স দিয়ে ওয়াসিম আকরাম, রিচার্ড হ্যাডলি, ইয়ান বিশপদের নজর কাড়েন ২০ বছর বয়স্ক তাসকিন। শুক্রবার মাশরাফিবিহীন দলের বোলিং কান্ডারি হয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬ বছরের জয় না পাওয়ার বন্ধ্যত্দ ঘোচান সামনে থেকে।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটে আলোচিত দল বাংলাদেশ। আলোচিত পেস বোলিং বিভাগও। মাশরাফি-রুবেল-তাসকিন ট্রয়ো মেলবোর্ন থেকে শুরু করে ক্যানবেরা, অ্যাডিলেড, নেলসন, হ্যামিলটনে গতির ঝড় তুলেছেন। নিয়মিত ১৪০ থেকে ১৪৫ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করেছেন তাসকিন। বিশ্বকাপ ক্রিকেটে তাই অধিনায়ক মাশরাফি তাকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দেন গতিতে বোলিং করতে। অধিনায়কের কাছ থেকে নির্দেশনা পেয়ে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের উইকেটে নিয়মিত ঝড় তুলেছেন। শুক্রবার দলের প্রয়োজনে দুই দুইবার ব্রেকথ্রু দেন তাসকিন। তার এই ব্রেকথ্রুই বাংলাদেশকে উপহার দেয় বহু আরাধ্য এক জয়। তার বোলিং নিয়ে ভীষণ সন্তুষ্ট অধিনায়ক মাশরাফি, 'শুক্রবার দুর্দান্ত বোলিং করেন তাসকিন। পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা যেভাবে রান করছিল, তাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল দল। সে সময় ব্রেকথ্রু দেন তাসকিন। তাসকিনের এই বোলিংই উপহার দেন জয়।'
গত জুনে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচেই আলো ছড়িয়েছিলেন তাসকিন। ২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন অভিষেক ম্যাচে। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে নেন ৯ উইকেট। শুক্রবার ৪২ রানে নেন ৩ উইকেট। আজও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রেখে জয় উপহার দিতে প্রস্তুত তাসকিন।