তামিম ইকবালের অপরাজিত শতক ও মুশফিকুর রহিমের অর্ধশতকের ওপর ভর করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে তিনি ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-০ তে নিজেদের পকেটে ভরে নিয়েছে টাইগাররা। ফলে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি নিয়ম রক্ষার ম্যাচে পরিণত হয়েছে। এই সিরিজের আগে এক বারই পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। তাও এখান থেকে ১৬ বছর আগে। আর সেই দলটির বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচ জিতে পকেটে পুরে ইতিহাসের পাতায় নতুন করে নাম লেখালো লাল-সবুজের দেশটি।
রবিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের ছুঁড়ে দেওয়া ২৪০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার সৌম্য সরকারের উইকেটটি হারিয়ে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। কিন্তু তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ প্রাথমিক সে ধাক্কা সামাল দেন। এরপর দলীয় ১০০ রানে ব্যক্তিগত ১৭ রান করে রিয়াদ ফিরলে প্রথম ম্যাচের মতো মুশফিককে নিয়ে ১১৮ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন তামিম।
ম্যাচ শেষে তামিম হার না মানা ১১৬ রানের এক মহামূল্যবান ইনিংস খেলেন তামিম। তার এই শতক করা ইনিংসে ছিল ১৭টি চার ও একটি ছয়ের মার। অন্যদিকে, সেঞ্চুরির দেখা না পেলে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে ব্যাট করে ৬৫ রান করেন মুশফিক। তার অর্ধশতকের ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও একটি ছয়। পাকিস্তানের পক্ষে জুনায়েদ খান, রাহাত আলী ও সাঈদ আজমল প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে, সাদ নাসিম ও ওহাব রিয়াজের অর্ধশতকের ওপর ভর করে ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান সংগ্রহ করেছে পাকিস্তান। ফলে জয়ের জন্য টাইগারদের টার্গেট দাঁড়িয়েছে ২৪০ রান।
এদিন, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১০০ রানের আগেই সাজঘরে ফিরে যান দলের প্রথম সারির ৫ ব্যাটসম্যান। এমন অবস্থায় দল যখন ১৫০ রানে অলআউটের শঙ্কায় তখন হারিস সোহেলের সাথে ৭৭ আর ওয়াহাব রিয়াজের সাথে ৮৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেন সাদ নাসিম। দলের হয়ে হার না মানা সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন সাদ। অন্যদিকে ৪০ বলে ৫ চার আর ২ ছক্কায় ৫১ রান করেন রিয়াজ। এছাড়া, হ্যারিস সোহেল করেন ৪৪ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে সাকিব আল হাসান সর্বোচ্চ ২টি উইকেট লাভ করেন। এছাড়া, মাশরাফি, আরাফাত সানি, রুবেল হোসেন ও নাসির হোসেন প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নেন।
বিডি-প্রতিদিন/১৯ এপ্রিল, ২০১৫/মাহবুব