টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ বিরুদ্ধে ভারতের সংগ্রহ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান। জিততে হলে টাইগারদের করতে হবে ১৪৭ রান।
ইন্ডিয়ার হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন ২১ ম্যাচ খেলা শিখর ধাওয়ান এবং ৫৮ ম্যাচ খেলা রোহিত শর্মা। প্রথম ওভারে মাশরাফি ৫ রান দিলেও দ্বিতীয় ওভারে শুভাগত হোম দেন ৪ রান। আল আমিনের করা পরের ওভার থেকে ভারতীয় ওপেনাররা নেন আরও ৮ রান। চতুর্থ ওভারে আক্রমণে আসেন মুস্তাফিজ, সে ওভারে খরচ হয় ৬ রান। পঞ্চম ওভারে সাকিব খরচ করেন আরও ৪ রান। মুস্তাফিজের করা ষষ্ঠ ওভারে টিম ইন্ডিয়ার ওপেনাররা তুলে নেন ১৫ রান। তবে, ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজ ফিরিয়ে দেন রোহিত শর্মাকে। সাব্বিরের হাতে ধরা পড়ার আগে রোহিত এক চার ও এক ছক্কায় ১৬ বলে করেন ১৮ রান।
মুস্তাফিজের পর ভারত শিবিরে আঘাত হানেন সাকিব। সপ্তম ওভারে সাকিব ফেরান শিখর ধাওয়ানকে। এলবির ফাঁদে পড়ে ভারতের এই ওপেনার আউট হওয়ার আগে করেন ২২ বলে ২৩ রান।
১০ ওভার শেষে ভারত দুই উইকেট হারিয়ে তোলে ৫৯ রান। ৮৪ বলে ভারতের দলীয় শতক আসে।
দলীয় ৪৫ রানের মাথায় রোহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ানকে ফিরিয়ে দিলেও বিরাট কোহলি আর সুরেশ রায়না জুটি গড়েন। এ জুটি থেকে আসে আরও ৫০ রান। ইনিংসের ১৪তম ওভারে শুভাগতের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলেই বোল্ড হন কোহলি। কোনো বাউন্ডারি না পেলেও একটি মাত্র ছক্কায় ২৪ বলে ২৪ রান করেন কোহলি।
শুভাগত কোহলিকে ফিরিয়ে দেওয়ার পর ইনিংসের ১৬তম ওভারের প্রথম বলে ৩০ রান করা সুরেশ রায়নাকে ফিরিয়ে দেন আল আমিন। পরের বলেই ব্যাটে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দেওয়া হারদিক পান্ডেকে ফেরান টাইগার এই পেসার। সাব্বিরের হাতে ধরা পড়ার আগে ২৩ বলে একটি চার আর দুটি ছক্কায় রায়না তার ইনিংসটি সাজান। সৌম্য সরকারের অসাধারণ ক্যাচে ফেরেন ৭ বলে ১৫ রান করা পান্ডে। তবে, হ্যাটট্রিক বঞ্চিত হন আল আমিন।
ইনিংসের ১৭তম ওভারে মাশরাফি বোলিং আক্রমণে আনেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। এসেই যুবরাজকে ফিরিয়ে দেন রিয়াদ। শেষ ওভারের প্রথম বলেই জাদেজার স্ট্যাম্প ভেঙে দেন মুস্তাফিজ। বোল্ড হওয়ার আগে ১২ রান করে বিদায় নেন জাদেজা।
টাইগারদের হয়ে ৪ ওভারে মাশরাফি দেন ২২ রান। আল আমিন ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে তুলে নেন দুটি উইকেট। সাকিব ৪ ওভারে একটি উইকেট তুলে নেন ২৩ রান খরচায়। এক ওভার বল করে রিয়াদ ৪ রানের বিনিময়ে নেন একটি উইকেট। ৩ ওভার বল করে শুভাগত ২৪ রান খরচ করে দখল করেন একটি উইকেট। মুস্তাফিজ ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে নেন আরও দুটি উইকেট।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ মার্চ ১৬/ সালাহ উদ্দীন