৩৩টি বসন্ত পার করলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের আইকন মাশরাফি বিন মর্তুজা। আর দু'টি বসন্ত পার করেছে মাশরাফিপুত্র সাহেল মর্তুজা। আজ ৫ অক্টোবর, পিতা-পুত্রের জন্মদিন। শুভ জন্মদিন মাফরাফি, শুভ জন্মদিন সাহেল।
১৯৮৩ সালের এই দিনে নড়াইলের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম তারকা মাশরাফি বিন মর্তুজা। আর ২০১৪ সালের এই দিনেই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করে মাশরাফির ছেলে সাহেল মর্তুজা।
অসামান্য ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এ ক্রিকেটারের ছেলেবেলা কেটেছে চিত্রা নদীতে সাঁতার কেটে। স্কুল ফাঁকি দিয়ে ক্রিকেট খেলতে যাওয়া ছেলেটি আজ বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক। পাড়ার মাঠে বল হাতে গতি ছোটানো মাশরাফি প্রথমে সুযোগ পান অনূর্ধ্ব-১৯ দলে। সেখান থেকেই তিনি চোখে পড়েন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং কোচ অ্যান্ডি রবার্টসের। তার হাতে পড়েই ক্যারিয়ার বদলে যায় মাশরাফির। তিনিই একমাত্র ক্রিকেটার যিনি প্রথম শ্রেণির কোনো ম্যাচ না খেলেই টেস্টে অভিষিক্ত হন।
ইনজুরির কারণে টেস্ট ক্যারিয়ার দীর্ঘ হয়নি মাশরাফির। মাত্র ৩৬ টেস্ট খেলে নিয়েছেন ৭৮ উইকেট। একই সঙ্গে তিনটি হাফ সেঞ্চুরিসহ রান করেছেন ৭৯৭। বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি- ১৬৩টি। উইকেট পেয়েছেন ২০৮টি, আর রান ১ হাজার ৪৫০।
ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ২০০১ সালের ৮ নভেম্বর শুরু হওয়া জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকেই নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। সেই যে পথচলা শুরু, এরপর নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ১৫টি বছর পার করে ফেলেছেন ক্যারিয়ারের। ২০০৬ সালে এক পঞ্জিকাবর্ষে মাশরাফি ছিলেন একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিশ্বের সর্বাধিক উইকেট শিকারি বোলার। তিনি ওই বছর নিয়েছিলেন ৪৯ উইকেট। তারই নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশ খেলেছে বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনাল।
দক্ষ নেতৃত্বে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো পরাশক্তিকে মাটিতে নামিয়ে দিয়েছেন ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের স্বাদ। তার হাত ধরে টানা ৬টি সিরিজ জয় এসেছে ঘরে। সামনে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হতে ক্ষণ গুনছেন নড়াইল এক্সপ্রেস ও তার সতীর্থরা।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ