সানিয়া মির্জা একদিকে ভারতের স্পোর্টস স্টার অন্যদিকে পাকিস্তানের বউ। বুধবার তার জন্মদিন। বলা হয়ে থাকে, মেয়েদের বয়স জিজ্ঞেস করতে নেই। তবে এক্ষেত্রে সানিয়ার কোন রাখঢাক নেই। তবে তাকে নিয়ে বিতর্ক কম নয়।
কেরিয়ারের শুরুতে সানিয়া মির্জার পোশাক নিয়ে বেশ বিতর্ক শুরু হয়। টেনিসের পোশাক ধর্মের সঙ্গে মানানসই নয় বলে জানিয়েছিলেন এক মুসলিম পীর। যদিও পরে বক্তব্য প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন তারা।
জাতীয় পতাকা অবমাননারও অভিযোগ উঠেছে সানিয়ার বিরুদ্ধে। ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে জাতীয় পতাকার দিকে পা দিয়ে বসে তেরঙাকে অপমান করেছেন বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয় একদল। বিষয়টি শেষ পর্যন্ত আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
সানিয়া মির্জার পরিবার নাকি বিপিএল তালিকাভুক্ত। এমন বিতর্কও শুরু হয় হায়দরাবাদি কন্যাকে নিয়ে।
২০০৮ সালে সোহরাব মির্জার সঙ্গে বাগদান হয় সানিয়ার। ওই সময় মুহাম্মদ আশরাফ নামে এক যুবক দাবি করেন, সোহরাবের সঙ্গে বাগদান বাতিল করতে হবে সানিয়াকে। না হলে তার বাড়িতে গিয়ে ঝামেলা বাধানোরও হুমকি দেন ওই যুবক। পাশাপাশি তিনি এও দাবি করেন, সোহরাবকে বিয়ে করতে পারবেন না সানিয়া, কারণ তাদের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। যদিও ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় অভিযোগ।
ছোটবেলার বন্ধু সোহরাব মির্জার সঙ্গে বাগদান হলেও, শেষ পর্যন্ত তা বাতিল হয়ে যায়। কেন সোহরাবের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দিলেন, তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা ওই সময় দেননি সানিয়া। শুধু জানান, তিনি এবং সোহরাব ছোট থেকেই ভাল বন্ধু। কিন্তু, বাগদানের পর তাদের মধ্যে মনের মিল হচ্ছে না বলেই সম্পর্ক আর এগোবেন না তারা।
সানিয়া মির্জা পাকিস্তানের বউ। তাই তাকে তেলাঙ্গানার ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডার’ করা যায় না বলে প্রশ্ন করেন বিজেপি নেতা কে লক্ষ্মণ। ২০১৩ সালে বিজেপি নিয়াত্র ওই মন্তব্য নিয়ে কম জল্পনা হয়নি।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন