গত রবিবার ইডেনে ‘মুম্বাই বধ’ করে চলতি আইপিএলে প্লে-অফের আশা ধরে রেখেছে কলকাতা। চার বছর পর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে জয় লাভ করে বাড়তি আত্মবিশ্বাস নিয়ে শুক্রবার মোহালিতে নামছে দীনেশ কার্তিকরা। প্রীতি জিন্তার কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ও শাহরুখ খানের কলকাতা নাইট রাইজার্সের কাছেই এই লড়াই ‘ডু অর ডাই’৷
দুই দলের পয়েন্ট ১২ ম্যাচে ১০। অর্থাৎ শুক্রবার হার মানেই প্লে-অফের আশা শেষ। এই অবস্থায় মোহালিতে কিংস ইলেভেনের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে কেকেআর। রবিবার মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিত ম্যাচ খেলে টানা ৬ ম্যাচ হারের পর মুম্বাইকে হারিয়ে অক্সিজেন পেয়েছে নাইটরা।
রবিবার ইডেনে মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে স্বপ্নের ব্যাটিং করেছে নাইটরা। রাসেল ধামাকা ও গিলের ব্যাটিং দাপটে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ২৩২ রান তুলেছিল কেকেআর। চলতি আইপিএলে এখনও পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ স্কোর। ৪০ বলে রাসেলের অপরাজিত ৮০ এবং ৪৫ বলে গিলের দুরন্ত ৭৬ রানে ভর করে চার বছর পর মুম্বাইয়ের বিরুদ্ধে জয়ের স্বাদ পায় কলকাতা।
কিংল ইলেভেন ও কেকেআর'র পয়েন্ট সমান হলেও মুম্বাইকে ৩২ রানে হারিয়ে রান-রেটে প্রীতির দলের থেকে এগিয়ে রয়েছে কিং খানের দল। শেষ দু’টি ম্যাচে পাঞ্জাব ও মুম্বাইকে হারাতে পারলে প্লে-অফে যাওয়ার আশা থাকবে নাইটদের। ইডেনে প্রথম সাক্ষাতে কিংস ইলেভেনকে হারিয়েছিল কেকেআর। তবে মোহালিতে কাজটা মোটেই সহজ নয় নাইটদের।
কিংস ইলেভেনের দুই ওপেনার ক্রিস গেইল ও লোকেশ রাহুল নাইট বোলারদের সামনে ত্রাস হয়ে উঠতে পারে। কারণ চলতি আইপিএল দারুণ ফর্মে রয়েছেন গেইল ও রাহুল। টুর্নামেন্টে এখনও পর্যন্ত ১২ ম্যাচে রাহুলের ব্যাট থেকে এসেছে ৫২০ রান। আর গেইল করেছেন ৪৪৮ রান। তবে মিডল অর্ডারে মায়াঙ্ক আগরওয়াল ছাড়া বাকিরা ছন্দে নেই।
অন্য দিকে, নাইটদের মিডল-অর্ডারকে শক্ত করেছে ক্যাপ্টেন ডিকে'র ফর্ম। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ম্যাচ হারলেও কঠিন পরিস্থিতি থেকে একাই দলের ব্যাটিংকে ভদ্রস্থ স্কোরে পৌঁছে ছিলেন কার্তি। ৫০ বলে ৯৭ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেছিলেন নাইট অধিনায়ক। তবে শেষ দু’টি ম্যাচেও নাইটদের তরুপের তাস সেই রাসেল। ১২ ম্যাচে ৪৮৬ রান এসেছে এই জামাইকানের ব্যাট থেকে। মুম্বাইয়ের তার বিধ্বংসী ইনিংস নিঃসন্দেহে পাঞ্জাব বোলারদের অস্বস্তিতে রাখবে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর