ত্রিদেশীয় সিরিজের ষষ্ঠ ম্যাচে জয়ের পথে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের দেওয়া ২৯৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে নেমে অর্ধশতক পূর্ণ করেন ওপেনার তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস।
বুধবার ডাবলিনের ক্যাস্টল এভিনিউতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পল স্টারলিংয়ের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯২ রান সংগ্রহ করে আইরিশরা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৫ ওভার শেষে ২৪০ রান। সাকিব ৪৮ এবং মাহমুদউল্লাহ ৬ রান নিয়ে ক্রিজে আছেন। ধীরে ধীরে জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধীর গতিতে ব্যাট করেন টাইগার ওপেনার তামিম-লিটন। অর্ধশতক তুলে নেন তামিম এবং লিটন। আউট হওয়ার আগে তামিম ৫৭ ও লিটন ৭৬ রান করেন।
এর আগে আয়ারল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ১৩০ রান করেন স্টার্লিং।
তার ইনিংসটি ১৪১ বলে ৮টি চার ও ৪টি ছক্কা সাজানো। এছাড়া ১০৬ বলে সাতটি চার ও ২টি ছক্কায় ৯৪ রান করেন অধিনায়ক পোটরফিল্ড।
ব্যাট করতে নেমে ২৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। রুবেল হোসেনের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে প্রথম স্লিপে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ হন জেমস ম্যাককলম। ১৮ বলে ৫ রান করেন আইরিশ ওপেনার।
আগের ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৩৫ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন বালবির্নি। এবারও ভয়ংকর হয়ে উঠার ইঙ্গিত ছিল তার ব্যাটে। ২০ বলে ৪ বাউন্ডারিতে ২০ রানে পৌঁছে যাওয়া এই ব্যাটসম্যানকে মুশফিকুর রহীমের ক্যাচ বানিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম উইকেটের দেখা পেয়েছেন আবু জায়েদ রাহী।
৫৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপদে ছিল আয়ারল্যান্ড। সেখান থেকে তৃতীয় উইকেটে ১৭৪ রানের বিশাল এক জুটি গড়ে তুলেন পল স্টার্লিং আর উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড।
দুজনই ছিলেন সেঞ্চুরির পথে। কিন্তু মাত্র ৬ রানের আক্ষেপ নিয়ে ফিরতে হয়েছে পোর্টারফিল্ডকে। আবু জায়েদ রাহীর বলে বাউন্ডারিতে লিটন দাসের দুর্দান্ত এক ক্যাচ হওয়ার আগে ১০৬ বলে ৭ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৯৪ রান করেন আইরিশ অধিনায়ক।
তবে সেঞ্চুরি তুলে নিতে ভুল করেননি স্টার্লিং। তিনিও রাহিরই শিকার হন, ১৩০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে।
বাংলাদেশ দলের হয়ে ৯ ওভারে ৫৮ রান খরচ করে ৫ উইকেট শিকার করেন আবু জায়েদ রাহী। এছাড়া সাইফউদ্দিন ২টি আর রুবেল হোসেন নেন ১টি উইকেট।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন