এই সপ্তাহের শুরুতে ইতালির সিরিআ'তে মুখোমুখি হয়েছিল ইন্টার মিলান ও ক্যাগিলারি। খেলা শেষ হয় ইন্টারের পক্ষে ২-১ ফলে। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে জেতান এই মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে ইন্টারে আসা বেলজিয়ান স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু।
ম্যাচটি ছিল ক্যাগিলারির হোম ম্যাচ। ২৭ মিনিটে লুয়াতারো মার্টিনেজের গোলে এগিয়ে যায় ইন্টার। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যে সেই গোল শোধ করে দেন জোয়াও পেদ্রো। ৭২ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পায় ইন্টার। লুকাকুর গোলে ইন্টার এগিয়ে যেতেই গোল পোস্টের পিছন থেকে তার উদ্দেশে বাঁদরের আওয়াজ করেন ক্যাগিলারি দলের সমর্থকরা। যা অপমানজনক ভাবে নেন লুকাকু। তিনি খেলা শেষে বলেন, “আমরা পেছনের দিকে হাঁটছি।” তার সতীর্থ ডিফেন্ডার মিলান স্ক্রিনিয়ারকে দেখা যায় ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে চুপ করার ইঙ্গিত দিচ্ছেন সমর্থকদের।
বাঁদরের আওয়াজ করা বা বাঁদর বলা বর্ণবিদ্বেষী বলেই মনে করা হয়। ক্রিকেটে হরভজন সিংহ এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের সেই ‘মাঙ্কিগেট’ নিশ্চয়ই ভুলে যাননি ক্রীড়াপ্রেমীরা। খেলার মধ্যে বর্ণবিদ্বেষী কোন রকম ইঙ্গিত বা কথাকে কঠোর হাতেই প্রতিরোধ করে ফিফা বা আইসিসি'র মতো সংস্থাগুলো।
কিন্তু লুকাকুর বিরুদ্ধে এই আওয়াজকে বর্ণবিদ্বেষী বলে মানতে রাজি নয় ইতালির ফুটবল সমর্থকরা। সোশ্যাল মিডিয়াতে লুকাকু'র উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লেখেন ইন্টারেরই এক সমর্থক। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, লুকাকু যেন এই আওয়াজকে অপমানসূচক না মনে করেন। এই আওয়াজ করা হয়েছে ‘সম্মান দেখিয়ে’।
ক্যাগিলারি সমর্থকরা লুকাকুকে ভয় পেয়েই এই আওয়াজ করা হয়েছে বলেওদাবি করা হয়েছে সেই চিঠিতে। এর মধ্যে কোন রকম বর্ণবিদ্বেষী বা অপমানজনক কিছু নাকি ছিল না। সেই চিঠিতে আরও বলা হয় যে, ইতালির ফুটবল সমর্থকরা বর্ণবিদ্বেষী নয়। তারা কোন দিন বর্ণবিদ্বেষকে সমর্থন করে না।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ